নওগাঁয় ৭ স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ৪২ জনের কোভিড শনাক্ত

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় সাত স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৭৩৮ জন কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁর সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ল্যাবে ৯, ১১ ও ১২ জুলাই পাঠানো নওগাঁর ২৯৪টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বুধবার রাতে ই-মেইলে আসে। এর মধ্যে ৪২ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। নতুন শনাক্ত ৪২ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, সাপাহারে ৫ স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১২ জন, পোরশায় ১ স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১০ জন, নিয়ামতপুরে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন, পত্নীতলায় ১ স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২ জন, বদলগাছীতে ২ জন, মান্দায় ২ জন, রানীনগরে ১ জন, ধামইরহাটে ১ জন ও আত্রাইয়ে ১ জন রয়েছেন।
এক দিনে মোট সাতজন স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিড শনাক্ত হয়েছে। সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্ট, একজন এক্স-রে টেকনোলজিস্ট, দুজন কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার (সিএইপি) ও একজন নার্স রয়েছেন। এ ছাড়া পোরশা ও পত্নীতলা উপজেলায় একজন করে সহকারী কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (স্যাকমো) কোভিড শনাক্ত হয়েছে।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ৭৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫১৪ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৭০ শতাংশ। মারা গেছেন ১১ জন।

গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৬ হাজার ৭২৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩৮ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এই হিসাবে নওগাঁয় করোনা শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সম্প্রতি শনাক্তের হার বেড়েছে। ৫ জুলাই থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত নওগাঁয় ১ হাজার ৬৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৮ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নতুন আক্রান্ত ৪২ জনের অধিকাংশের শরীরে জটিল কোনো উপসর্গ নেই। তাঁদের সবাইকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে এবং তাঁদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।