নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

নীলফামারী
নীলফামারী

নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকালে ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

এর আগে রোববার (১২ জুলাই) ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ অবস্থায় তিস্তা ব্যারাজ ও ফাট বাইপাস এলাকায় সতর্কতা সংকেত জারি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। পরদিন সোমবার সকালে পানি কিছুটা কমলে সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হয়। মঙ্গলবার সেখানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। ওই দিন তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে নামে।

পাউবো সূত্র জানায়, ১০ জুলাই থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। ১৩ জুলাই পর্যন্ত টানা চার দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। তিস্তায় পানি বাড়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার পানি বিপৎসীমার নিচে নামলে এসব এলাকার বাড়িঘরে ওঠা বন্যার পানি নেমে যায়।

পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ২৬ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গত ২৬ জুন ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। ২৮ জুন পর্যন্ত টানা তিন দিন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ৪ জুলাই সকালে আবারও পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। সন্ধ্যা ৬টায় পানি কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে।

পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।