ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি

ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শহরের ভাজন ডাঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীর পাড় ভেঙে ফরিদপুর পৌরসভার সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদীর পাড় রক্ষা করার ব্যাপারে পৌরসভা বা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো ভূমিকা রাখেনি।

বন্যার পানিতে ফরিদপুর-চরভদ্রাসন সড়কের দুটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের পাঁচটি পরিবার গদাধরডাঙ্গী বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। রান্নার চুলা ডুবে যাওয়ায় অন্তত ৩৫০ পরিবার খাদ্যসংকটে পড়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফরিদপুরের চার উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াতের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৭০ শতাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকের খেতের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে।’

জেলার সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানকার মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আমরা জেলার নিম্নাঞ্চলের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবার প্রস্তুত রয়েছে। দুর্গতরা প্রয়োজন মনে করলে সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন।’