ফেনীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

ফেনীতে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক কলেজশিক্ষকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং অপর দুজন শহরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কলেজশিক্ষকের বয়স ৫৩ বছর। তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও দাগনভূঞা উপজেলার একটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ছিলেন। অপর ২ জনের বয়স ৮০ ও ৮৫ বছর। তাঁরা যথাক্রমে সোনাগাজী ও ফুলগাজী উপজেলার বাসিন্দা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কলেজশিক্ষক বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বর ও ব্যথায় ভুগছিলেন। তিনি ফেনী শহরের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গতকাল বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ওষুধ খাওয়ানোর পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। সন্ধ্যায় আবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। প্রশাসনের নির্দেশনায় জানাজা শেষে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সোনাগাজীর প্রবীণ ব্যক্তি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

চর মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. শাহ জাহান জানান, ওই ব্যক্তির মরদেহ রাতেই বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ফুলগাজীর প্রবীণ ব্যক্তি হাসপাতালের হাজি নজির আহম্মদ আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন।

মুন্সীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন জানান, সকালে জানাজা শেষে ওই ব্যক্তির মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।