টঙ্গিবাড়িতে বন্যার পানির তোড়ে সেতুর সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

বন্যার পানির তোড়ে টঙ্গিবাড়ী কামারখাড়া- হাসাইল ও কামারখাড়া-আদাবাড়ি জোড়া সেতুর সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সড়কের অন্য অংশ বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো
বন্যার পানির তোড়ে টঙ্গিবাড়ী কামারখাড়া- হাসাইল ও কামারখাড়া-আদাবাড়ি জোড়া সেতুর সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সড়কের অন্য অংশ বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় বন্যার পানির তোড়ে কামারখাড়া-হাসাইল ও কামারখাড়া-আদাবাড়ি (এলজিইডি) সড়কের জোড়া সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার ভাঙ্গুনিয়া এলাকার এ সড়কটি সম্পূর্ণ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এই সড়কে যাতায়াতকারী ১০ গ্রামের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে ভাঙ্গুনিয়া এলাকার জোড়া সেতুর এক পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সম্পূর্ণ ধসে গেছে। পাশাপাশি সেতু ২টির ৩০ থেকে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যে মাটি সরে গেছে। এতে দুই পাশের গ্রামগুলোর সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সড়কটি অন্য অংশে ভাঙন রোধে বাঁশের বেড়া দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, কয়েক বছর আগে হাসাইল-কামারখাড়া সেতুর নিচে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এতে করে কয়েক বছর সেতুর সংযোগ সড়কের ভাঙন রোধ হয়। গত সপ্তাহে প্রশাসন সেই সেতুর নিচের ইটের দেয়াল ভেঙে দেয়। সেতু দুটির সংযোগ সড়কে পদ্মার পানির স্রোতের আঘাত হানে। গতকাল বুধবার কিছুটা এবং আজ সম্পূর্ণ সড়ক ভেঙে গেছে। এতে বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবাড়ি, ভিটিমালধাসহ কমপক্ষে ১০টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান তারা।

কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হালদার বলেন, ‘সেতুর নিচের দেয়াল না ভাঙার জন্য ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছিলাম। তাঁরা দেয়াল ভাঙার সিদ্ধান্ত দেন। দেয়ালটি ভেঙে ফেলায় সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মানুষের যাতায়াতের জন্য অস্থায়ীভাবেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা আক্তার বলেন, সেতুর নিচের দেয়ালটি পানি বাড়ার আগে সরানো গেলে প্রবাহ ঠিক থাকত। সড়ক বাঁচাতে প্রকৌশলীর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর নিচের দেয়ালটি সামান্য কিছু ভাঙা হয়। তবে পানির গতি বেশি হওয়ায় সেটা ভেঙে গেছ। বাঁশ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা হচ্ছে। পানির গতি খুব বেশি। স্থায়ী সমাধান ছাড়া উপায় নেই।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, সেতুটির নিচ দিয়ে ইটের দেয়াল দিয়ে পানি যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছিল। সড়কটির দক্ষিণ পাশে বন্যার পানির প্রচণ্ড চাপ ছিল। তাই সেই দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়। ভেঙে যাওয়া সড়কটি পরিদর্শন করে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হবে।