গ্রাম পুলিশের সদস্যরা ১০ মাস ধরে পাচ্ছেন না ইউপির বেতন

নেত্রকোনা
নেত্রকোনা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৩১ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য প্রায় ১০ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না, যা তাঁদের বেতনের অর্ধেক। নিয়মিত কাজ করে বেতন-ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এ ছাড়া এক বছর চার মাস ধরে হাজিরা ভাতাও বন্ধ রয়েছে। বেতনের বিষয়টি সমাধানে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।

গ্রাম পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ১৩১ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন দফাদার এবং ১১৪ জন মহল্লাদার রয়েছেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী দফাদারেরা প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা ও মহল্লাদাররা ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। মোট বেতনের অর্ধেক ইউপি থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু ১০ মাস ধরে ইউপি অংশের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ে আছে।

এ ছাড়া এক বছর চার মাস ধরে ১১টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা প্রতি মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং দলপা ও আশুজিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ৬০০ টাকা করে হাজিরা ভাতা পাচ্ছেন না। দলপা ও আশুজিয়া ইউনিয়নে প্রতি মাসে দুই দিন আর বাকি ইউনিয়গুলোতে প্রতি মাসে চার দিন হাজিরার নিয়ম রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে হাজিরা ভাতা ধরা রয়েছে।

গ্রাম পুলিশ কেন্দুয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা জানান, এই করোনা মহামারিতে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপজেলা পরিষদ, ইউপিসহ গ্রাম-মহল্লায় দিন-রাত কষ্ট করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, কিন্তু বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে গত জুন মাসে তাঁরা কয়েকজন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের কষ্টের কথা বলেছেন। জেলা প্রশাসক বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সদ্য বিদায়ী ইউএনও আল ইমরান রুহুল ইসলামকে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা এখনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পাওনা বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে স্থানীয় ইউএনওকে বলা হয়েছে।

নবনিযুক্ত ইউএনও মো. মইনউদ্দিন খন্দকার বলেন, তিনি গত ২২ জুন উপজেলায় যোগদান করেছেন। গ্রাম পুলিশ সদস্যদের বেতন পরিশোধ করতে জেলা প্রশাসকের একটি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু তহবিলে টাকার স্বল্পতা রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।