এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের অভিভাবক ছিলেন: ফখরুল

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের অভিভাবক ছিলেন।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাঁটাবনে এমাজউদ্দীন আহমদের বাসায় তাঁর প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এমাজউদ্দীন আহমদ (৮৭) মারা যান। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের অভিভাবক ছিলেন। স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রকামী মানুষের অভিভাবক ছিলেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন নির্লোভ–নিবেদিতপ্রাণ দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের চরম দুর্ভাগ্য, আমরা এই রকম একজন অভিভাবককে শুধু বিএনপি নয়, গোটা জাতি হারাল। তিনি সব সময় চেয়েছেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটা উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মিত হোক। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হোক। জনগণের মুক্তি হোক, এটাই উনি চেয়েছিলেন। তিনি সারা জীবন ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের জন্য তাঁর লেখনী অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর জীবনের সমস্ত কর্মই ছিল এই বাংলাদেশের জন্য।’

এমাজউদ্দীন আহমদের হঠাৎ করে চলে যাওয়াটা বিশ্বাস করতে পারছেন না, উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েক দিন আগেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর এই চলে যাওয়া একটি বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। বিএনপি, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এমাজউদ্দীন আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

এমাজউদ্দীন আহমদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল ছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এমাজউদ্দীন আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।