ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাইয়ে দিনে গড়ে কোভিডে আক্রান্ত ৪৩ জন

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার সংক্রমণ ১ হাজার ৭০০ ছাড়াল। জেলায় নতুন করে ১ জন চিকিৎসকসহ ১১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭০২। 

গত ১ জুন থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ৪৭ দিনে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৫৭১ জন। এটা মোট আক্রান্তের ৯২ দশমিক ৩০ শতাংশ। চলতি মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ১৭ দিনে জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৪ জন। অর্থাৎ জুলাই মাসে প্রতিদিন গড়ে ৪৩ জনের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।


গতকাল রাতে আসা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে ২১ জন ও গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদনে ৯৮ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। জেলায় কোভিড-১৯ রোগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে জুন মাসে মারা যান ১৩ জন।

এদিকে গতকাল জেলায় বাংলাদেশ সমবায় সমিতির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন চৌধুরী নিসার (৫৭) এবং লাকী ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মো. সুহেল (৪০) কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

জেলায় কোভিড-১৯ রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট সংক্রমণের ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশই হয়েছে জুন মাসে। জুনের ৩০ দিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৩৭ জন। প্রতিদিন ২৭ জনের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। চলতি মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ১৭দিনে জেলায় আক্রান্ত ৭৩৪জন। এটি মোট সংক্রমণের ৪৩ দশমিক ১২ শতাংশ। চলতি মাসের গতকাল রাত পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৪৩ জনের বেশি করে রোগী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১০ এপ্রিল। ওই সময় থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন ১৩১ জন। আর ১ জুন থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমিত হন ১ হাজার ৫৭১ জন। সংক্রমিত লোকজনের মধ্যে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ সংক্রমিত হন গত ৪৭ দিনে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গতকাল ঢাকার সরকারি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পিসিআর ল্যাব থেকে ৬৭টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে ২১টি পজিটিভ এবং গত বৃহস্পতিবার ২১৫টি নমুনার মধ্যে ৯৮ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে। গত দুই দিনে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৬, বাঞ্ছারামপুরে ৩২, নবীনগরে ১৮, বিজয়নগরে ৩, আখাউড়ায় ১৫, আশুগঞ্জে ১৫ জন।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণে জুন মাসেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ঈদের সময় মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা, মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা, অসচেতনতা, বেশি নমুনা সংগ্রহ করা—এসব কারণে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।’