স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দ্বন্দ্বে করোনা মোকাবিলা বিপজ্জনক স্থবির

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দ্বন্দ্বে করোনা মহামারি মোকাবিলার কাজ অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অনেক কিছু করার আছে। প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে আছে। পরিস্থিতিকে বিপজ্জক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

চার মাস আগে ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেই মৃত্যুসংখ্যা এখন আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ এক দিনে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেই। সবখানে একধরনের গা–ছাড়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে বলেছে, করোনা মোকাবিলায় শিথিলতা দেখানো দেশগুলোতে সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।

দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখ। কেউ মনে করছেন, দেশে প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু কেন কম, সেই ব্যাখ্যা বা বৈজ্ঞানিক তথ্য কারও কাছে নেই। অথচ যেকোনো সময় সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহামারি মোকাবিলায় কাজ শুরুর চার–পাঁচ মাস পরে আমাদের অবস্থান দৃঢ় হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। প্রশাসনিক অব্যস্থাপনার কারণে মহামারি নিয়ন্ত্রণে নেই।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির মতো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভালো নেতৃত্ব ও শক্ত জনস্বাস্থ্য পদ্ধতির মিশ্রণ দরকার। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যন্ত সবার মধ্যে অনাস্থা ও অনৈক্য প্রকট হয়ে উঠেছে। শৃঙ্খলার ঘাটতি সবখানে।

এর প্রভাব পড়েছে কাজের ওপর। বিশেষজ্ঞরা লকডাউন (অবরুদ্ধ) কৌশলপত্র ও কারিগরি নির্দেশনা চূড়ান্ত করে দিলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেগুলো মাঠপর্যায়ে পাঠাচ্ছে না। প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার কারণে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে না। জনসংখ্যা অনুপাতে দৈনিক ২৪–২৫ হাজার পরীক্ষা হওয়া প্রয়োজন ছিল। এখন হচ্ছে গড়ে ১৩ হাজার। জীবনদায়ী হাই ফ্লো অক্সিজেন ক্যানুলার সুপারিশ করেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবং কেনার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। কিন্তু কেনা পিছিয়ে গেছে। এ রকম আরও অনেক উদাহরণ আছে। একধরনের স্থবিরতা চলছে।

গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থবিরতা বলা ঠিক হবে না। কিছুটা অস্থিরতা আছে বলা যেতে পারে। আমরা পরিবর্তন করার, একটা বড় ধরনের জাম্প দেবার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেন, আগামী সোমবার কারিগরি কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করা যায়।

শিথিলতার শুরু

করোনার জন্য বিশ্ব প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ সময় পেয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার বলেছে, তাদের প্রস্তুতি আছে। এখন যেসব ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যায় প্রস্তুতির কমতি ছিল এবং তা এখনো আছে।

করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতা ও জটিলতা, অর্থনীতি–বাণিজ্যে এর প্রভাব—এসব কিছু বুঝে ওঠার আগেই সরকারের মন্ত্রীদের কেউ বলেছেন, ‘আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী। কেউ বলেছেন, আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম। ৩ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’ ওই দিন স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, সংস্থাপন, তথ্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘ন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান ফর কোভিড–১৯, বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরুর আগেই সাংবাদিকদের সভাকক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আলোচনা আর হয়নি।

>

প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার কারণে মহামারি নিয়ন্ত্রণে নেই
জীবনদায়ী হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ক্রয় পিছিয়েছে
ঈদের সময় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তরের পদক্ষেপ এখনো অজানা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি), রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। ওই জাতীয় দলিলে ১১টি কমিটি গঠন করার কথা ছিল। কাগজে–কলমে এসব কমিটি হয়েছিল। এর মধ্যে আটটি কমিটির কোনো সভাই হয়নি। এ ধরনের আরও কিছু অসংগতি নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয় প্রথম আলোতে। এরপর জাতীয় দলিলের পঞ্চম সংস্করণে কমিটির সংখ্যা কমানো হয়। মলাটে লেখা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের নাম, সরিয়ে ফেলা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোগো।

এরপর শুরু হয় কমিটি ভাঙা–গড়ার কাজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো কমিটি করলে দেখা যাচ্ছে সমান্তরাল কমিটি হচ্ছে মন্ত্রণালয়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠন করে আট সদস্যের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটি। কিছুদিন পর মন্ত্রণালয় গঠন করে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। অধিদপ্তরের সংবাদ ব্রিফিংয়ের পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাও সাংবাদিকদের ডেকে কথা বলতে শুরু করেন। এ পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সচিবালয়ে নিজের কক্ষ ফেলে রেখে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনের একটি কক্ষে বসতে শুরু করেন।

করোনা মোকাবিলায় যখন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সমন্বয় সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল তখন তাদের মধ্যে অনৈক্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামকে বদলি করা হয়।

দুর্নীতি ও দোষারোপ

দুর্নীতির অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জন্য নতুন কিছু নয়। স্বাস্থ্যের দুর্নীতি বিষয়ে জরিপ ও গবেষণা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গত সপ্তাহে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, জেকেজি বা রিজেন্টের দুর্নীতি শৈলচূড়ামাত্র, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি আরও ব্যাপক ও গভীর। কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছাড়া এসব দুর্নীতি করা সম্ভব না।

করোনাকালে আরও অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে। প্রথম অভিযোগ এসেছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। চিকিৎসকদের একটি অংশ বলেছিলেন, ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) ছাড়াই তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে বলা হচ্ছে। অন্য একটি অংশ বলেছিলেন, পিপিইর মান খারাপ। এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অথচ ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের দুই মাসের ব্যবধানে করা দুটি জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, দুটি অভিযোগই সত্যি।

অন্যদিকে এন–৯৫ মাস্ক নিয়ে তদন্তে দেখা গেছে, প্রতারণার অভিযোগ ঠিক ছিল। প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি বলেছে, এটি ছিল পরিকল্পিত প্রতারণা। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় চলা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।

অতিসম্প্রতি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষার অনুমতি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব প্রতিষ্ঠান সরেজমিন না দেখে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জেকেজি বা রিজেন্ট নিয়ে এত কথা হচ্ছে, ওই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছেন না কেন?’

দুর্নীতি বন্ধের কার্যকর কোনো উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নেয়নি। নিজেরা উদ্যোগী হয়ে দুর্নীতি আটকে দিয়েছে বা দুর্নীতিবাজকে শাস্তি দিয়েছে এমন ঘটনা বিরল।

মহামারির এই জরুরি সময়ে জেকেজি ও রিজেন্ট–সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি নিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ব্যস্ত আছেন নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের কাজে। এই মহাদুর্যোগের সময় অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীকে ঘিরে অনৈক্য ও অনাস্থার ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত।

জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন বলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজ অনেকটাই স্থবির হয়ে আছে। দেশের মানুষের একটি অংশ মনে করছে সরকারের কাছে করোনা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নয়। তাই মানুষও অনেকটা বেপরোয়া আচরণ করছে। মানুষের কাছে সাবান–পানি দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো গুরুত্ব হারিয়েছে। রাস্তাঘাটে বেরোলেই তা চোখে পড়ে।

উত্তর অজানা

তবে সরকারের বা সাধারণ মানুষের গা ছাড়াভাবের একটি কারণ হয়তো এই যে, দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় কম। প্রথমে চীনে সংক্রমণ দেখা দিলে মানুষ অবাক হয়েছিল। ইতালিসহ ইউরোপের একাধিক দেশে ব্যাপক মৃত্যুর ঘটনায় দেশের মানুষের মনেও ভয় ঢুকে যায়। দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনায় মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সেই আতঙ্ক আর আগের মতো নেই বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ঠিক কোন কারণে দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু কম, তা জানা যাচ্ছে না। গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণ হার বেশি হলেও তা স্থিতাবস্থায় আছে। মৃত্যুহারও মোটামুটি স্থিতাবস্থায়।

জনস্বাস্থ্যবিদদের ধারণা একাধিক কারণে এটা হতে পারে: প্রথমত এই অঞ্চলের মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্য, এই অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে তৈরি হওয়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, এই অঞ্চলের জলবায়ু–আবহাওয়া অথবা অন্য কোনো কারণ। দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন অণুজীববিজ্ঞানী বলেছেন, ‘কারণ কিছু একটা আছে, যা বের করতে গবেষণার প্রয়োজন।’

এ রকম বহু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। আইইডিসিআর ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) যৌথভাবে করোনার প্রকোপ নিয়ে জরিপ করছে। জরিপের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, বস্তি এলাকার মানুষের মধ্যে তুলনামূলকভাবে সংক্রমণ কম। কিন্তু কেন কম তার ব্যাখ্যা এখনো গবেষকেরা খুঁজে পাননি। এই মাসের শেষ দিকে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

পরিবর্তন দরকার

কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞদের দুটি কমিটি কী কী পরামর্শ দিয়েছিল আর তার কতগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে, তা সাধারণ মানুষ জানে না।

জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই সময়ের করণীয় সম্পর্কে আমরা সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হবে কি না, কীভাবে হবে অথবা আদৌ হবে কি না, তা বুঝতে পারছি না।’

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের জন্য প্রয়োজনে সান্ধ্য আইন জারির পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটি। ঈদুল ফিতরে চলাচলে কঠোর কড়াকড়ি ছিল না। ঢাকা থেকে সারা দেশে মানুষ গিয়েছিল। তারপর সারা দেশে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। আগামী ঈদেও একই আশঙ্কা আছে।

তবে যেভাবে চলছে এভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করেন না আইইডিসিআরের পরামর্শক মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামতে হবে। শিথিলতাভাব দূর করতে হলে পরিবর্তন দরকার। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিয়ে সমগ্র কাজ এগিয়ে নিতে হবে।’