পানিতে ডুবে থেকে থেকে হেলে পড়ছে বসতঘর

গত আট দিন ধরে বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামের অনেক বসতঘর হেলে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে টিনের ঘর। ছবি: প্রথম আলো
গত আট দিন ধরে বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামের অনেক বসতঘর হেলে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে টিনের ঘর। ছবি: প্রথম আলো

গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আজ রোববারও অপরিবর্তিত রয়েছে। নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত আছে। এ সব ইউনিয়নের ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০ জন পানিবন্দী। তাঁরা বাঁধ ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। পানি কিছুটা কমলেও তাঁরা ঘরে ফিরতে পারেননি।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, যেভাবে পানি কমছে তাতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

বন্যায় গাইবান্ধা-ফুলছড়ি সড়কের ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নীলকুঠি এলাকার সড়কটি ডুবে গেছে। প্রায় এক কিলোমিটার অংশ ডুবে পাকা সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষ। সাঘাটার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। ছবি: প্রথম আলো
বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষ। সাঘাটার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। ছবি: প্রথম আলো

গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরও ১৭ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি আরও ২০ সেন্টিমিটার কমেছে। পানি কমলেও আজ সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়িঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে করতোয়া নদীর পানি ২১ সেন্টিমিটার কমেছে। আজ সকাল ৬টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

গত আট দিন ধরে বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামে অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কোনো কোনো টিনের ঘর ভেঙে পড়েছে। এই গ্রামের মানুষ ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি খেয়ে অনেক এলাকায় পেটের পীড়া দেখা দিয়েছে। এ জন্য বন্যা দুগত এলাকায় ৬১টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।