ব্লু ওয়াইল্ডবিস্টের ঘরে নতুন শাবক

বনের নির্জন স্থানে শাবককে নিয়ে মা ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট। ১৯ জুলাই। ছবি: পার্ক কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে
বনের নির্জন স্থানে শাবককে নিয়ে মা ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট। ১৯ জুলাই। ছবি: পার্ক কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো ব্লু ওয়াইল্ডবিস্টের পালে নতুন সদস্য যুক্ত হয়েছে। গত শনিবার শাবকটির জন্ম হয়।

আজ রোববার এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শাবকসহ এখন পার্কে ওয়াইল্ডবিস্টের সংখ্যা ১৫।
পার্কসংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছরের শুরুতে আরও একটি ওয়াইল্ডবিস্ট শাবকের জন্ম হয়েছিল। কোর সাফারি অংশে অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে ব্লু ওয়াইল্ডবিস্টের বসবাস। নতুন শাবকসহ মা ওয়াইল্ডবিস্ট এখন বনে অপেক্ষাকৃত ঘন ও নির্জন স্থানে অবস্থান করছে। ওয়াইল্ডবিস্ট তৃণভোজী প্রাণী। এরা দল বেঁধে পাল নিয়ে চলাচল করে। লম্বা নরম ঘাস এদের প্রিয় খাবার। আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে এদের অবাধ বিচরণ। এরা খাবারের সন্ধানে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে নতুন কোনো তৃণভূমিতে বসত গড়ে।

পার্কের বন্য প্রাণী পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন খান জানান, পার্কে নিয়ম করে এদের খাবার দেওয়া হয়। একটি মা ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট একবারে একটি শাবকের জন্ম দেয়। এরা সাড়ে আট মাস গর্ভধারণ করে। বর্ষা মৌসুম এদের প্রজননের প্রকৃত সময়। ২০ থেকে ২১ বছর ওয়াইল্ডবিস্টের আয়ুকাল। দুই থেকে তিন বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয় ওয়াইল্ডবিস্ট।

সাফারি পার্কের অপর বন্য প্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, শাবকটি এখন মায়ের পাশাপাশি অবস্থান করছে। মায়ের দুধ পান করছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ ওয়াইল্ডবিস্টকে ভুট্টাদানা, ঘাস ও অন্যান্য খাবার সরবরাহ করছে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান জানান, সাফারি পার্কে ব্লু ও ব্ল্যাক এই দুই ধরনের ওয়াইল্ডবিস্ট আছে। গতকাল জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি ব্লু ওয়াইল্ডবিস্টের। এ বছর পার্কে আরও কিছু প্রাণীর বাচ্চা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।