গ্রেপ্তারের পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত 'ইয়াবা মিজান'

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

তিন দিন আগে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার হন কক্সবাজারে ইয়াবা লুট মামলার অন্যতম আসামি মিজানুর রহমান। আজ সোমবার ভোরে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল সেতু এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। মিজানুর শহরের পশ্চিম টেকপাড়ার গোলাম মাওলা বাবুল ওরফে জজ বাবুলের ছেলে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শহরের বাঁকখালী নদীর মাঝিরঘাট এলাকা থেকে খালাস হয় শত কোটি টাকার বিশাল একটি ইয়াবার চালান। কৌশলে ইয়াবার চালানের কিছু অংশ লুট করে মিজানের (৩২) নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। সে সময় পুলিশ দুই লাখ ইয়াবা বড়িসহ দুই সহযোগী মোস্তাক ও ফিরোজকে গ্রেপ্তার করলেও মিজান ভারতে পালিয়ে যান। ১৭ জুলাই ভারত থেকে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশের সময় যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মিজানকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবিরের ভাষ্য, মিজানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ তাঁকে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে যায়। খুরুশকুল সেতুর কাছে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ইয়াবা গডফাদার মিজান গুলিবিদ্ধ হন। অবস্থা বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি দেশীয় বন্দুক ও রাইফেলের একটি তাজা গুলি জব্দ করে। আহত মিজানকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি বলেন, মিজানের বিরুদ্ধে থানায় ইয়াবা পাচার ও লুটের পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। তিনি শহরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।

মিজানের বাবা গোলাম মাওলা বাবুল কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। সেই সূত্রে এলাকায় তিনি ‘জজ বাবুল’ নামে পরিচিত।