গাইবান্ধায় পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার অনেক ওপরে

বন্যায় গাইবান্ধা-বালাসি সড়ক ডুবে রয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো
বন্যায় গাইবান্ধা-বালাসি সড়ক ডুবে রয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

সব নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। এখনো প্লাবিত হয়ে আছে নদীতীরবর্তী চার উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০ মানুষ পানিবন্দী।

গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরও ৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদের পানি আরও ২ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এখনো পানি বিপৎসীমার অনেক ওপরে রয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়িঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ছয়টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বন্যার পানিতে ডুবে আছে বসতঘর। ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসি গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো
বন্যার পানিতে ডুবে আছে বসতঘর। ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসি গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, জেলার সব কটি নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পানি কমতে শুরু করায় বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের বাজে চিথুলিয়া ও চিথুলিয়াদিগর গ্রাম দুটির ৩১৮টি পরিবার নদীভাঙনে গৃহহীন হয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর, হরিপুর ও কাপাসিয়ার এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে।