মশিয়ালীতে নির্বিচারে গুলি: প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়নি

খুলনার মশিয়ালী গ্রামে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ঘটনার চার দিন পার হলেও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। তবে পুলিশের দাবি, মূল আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই হয়তো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মশিয়ালী গ্রামের পূর্ব পাড়ায় সাধারণ মানুষের ওপর অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই এলাকার প্রভাবশালী শেখ জাকারিয়া, শেখ মিল্টন ও শেখ জাফরিন নামের তিন ভাই। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। গুলিবিদ্ধ সাতজন এখনো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই ঘটনায় শনিবার রাতে নিহত সাইফুল ইসলামের বাবা সাইদুল ইসলাম শেখ বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়া, তাঁর দুই ভাই শেখ মিল্টন ও শেখ জাফরিন হাসানসহ মোট ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ১৬ জনকে।

ঘটনার পর থেকে পরিবার নিয়ে ওই তিন ভাই পলাতক। তবে শনিবার বিকেলে জাফরিনকে যশোরের বাঘারপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার জাফরিনের সহযোগী জাহাঙ্গীর ও আরমান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

রোববার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুল হায়দার। মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম জাফরিনের আট দিন, জাহাঙ্গীর ও আরমানের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

রোববার ওই ঘটনার ১৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি জাকারিয়াদের প্রতিবেশী রহিম আকুঞ্জি নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার আদালতের কাছে সোপর্দ করে তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানান খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন।

জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মূল আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ জন্য পুলিশের কয়েকটি দল ভাগ হয়ে কাজ করছে। এখনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তবে শিগগিরই অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।