ঢাবির সেই শিক্ষকের পদাবনতি

গত বছরের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটের আগেই বস্তাভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় হলটির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে সাময়িক চাকরিচ্যুত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট৷ তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা পর্যালোচনা করতে একটি কমিটিও করা হয়েছিল৷ সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সেই শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির পরিবর্তে পদাবনতি করা হয়েছে।

ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম জাহানকে স্থায়ী অব্যাহতি না দিয়ে তাঁকে পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়েছে৷ নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় গত বছরের মার্চের সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে এককভাবে দায়ী করা হলেও পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনে হলের দুজন আবাসিক শিক্ষককেও দায়ী করা হয়েছে৷ ওই দুই শিক্ষককে সিন্ডিকেট 'সতর্ক' করেছে৷

আজ সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়৷ এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন দুজন সিন্ডিকেট সদস্য৷

গত বছরের ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন ভোটের আগেই বস্তাভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার উদ্ধার হয় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে৷ এই ঘটনায় হলটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল৷ পরে তাৎক্ষণিকভাবে হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে শবনম জাহানকে অপসারণ করে এই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে৷