যাত্রীরা বলছিলেন, ডুবে যাওয়া বাসে আরও মানুষ আছে

বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে প্রায় ডুবে যায়। বেঁচে ফেরা অনেক যাত্রী বলছিলেন, বাসের ভেতর কয়েকজন যাত্রী রয়েছেন। কিন্তু ডুবুরি দল দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও কাউকে পায়নি। জানীগাঁও, সদর, সুনামগঞ্জ, ২১ জুলাই। ছবি: খলিল রহমান
বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে প্রায় ডুবে যায়। বেঁচে ফেরা অনেক যাত্রী বলছিলেন, বাসের ভেতর কয়েকজন যাত্রী রয়েছেন। কিন্তু ডুবুরি দল দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও কাউকে পায়নি। জানীগাঁও, সদর, সুনামগঞ্জ, ২১ জুলাই। ছবি: খলিল রহমান

সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে প্রায় ডুবে যায়। এ সময় বাস থেকে বের হতে গিয়ে ছয়জন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বাসের ভেতর কাউকে পাননি।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জ সদরে জানীগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল নয়টার দিকে বাসটি যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জানীগাঁও এলাকা পার হওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়।

স্থানীয় লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল ওদুদ বলেন, তিনি ইউনিয়ন পরিষদেই ছিলেন। পরিষদের সামনেই দুর্ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দ শুনে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন। এসে তিন-চারজন লোককে বাস থেকে বের হয়ে আসতে দেখেন। এ সময় ওই ব্যক্তিরা তাঁকে জানান, বাসের ভেতরে আরও লোক আছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, তাঁরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, বাসে ১৭ জন যাত্রী ছিলেন। পথে ১০ জনের মতো নেমে গেছেন। দুর্ঘটনার পর ছয়জন বাস থেকে বের হতে সক্ষম হন।
সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, তাঁরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বাসের ভেতরে কিংবা আশপাশে কাউকে পাননি। তাঁদের ধারণা, দুর্ঘটনার সময় সব যাত্রী বাস থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। জেলা প্রশাসক বলেছেন, বাসের ছয়জন যাত্রী, যাঁরা দুর্ঘটনার সময় বাস থেকে বের হতে গিয়ে বিভিন্নভাবে আঘাত পেয়েছেন, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন প্রায় দুই ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও আর কাউকে পাওয়া যায়নি।