লাইসেন্স ছাড়াই তৈরি করছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তা-ও নকল

লাইসেন্স ছাড়া নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি এবং নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার দুপুরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর পৌনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পৌর এলাকার নয়নশুকা-পাইকড়তলা মহল্লার ‘মেসার্স মিম কনজ্যুমার ফুড প্রোডাক্টস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে দেখা যায়। কিন্তু সেখানে ছিল না কোনো ল্যাব, কেমিস্ট, অগ্নিনির্বাপন লাইসেন্স। এ ছাড়া কারখানা পরিচালনারও কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির মালিক মনিরুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটি ছিল অপরিচ্ছন্ন। তাই নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির অপরাধে তাঁকে ১ মাস কারাদণ্ড বা ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি নগদ অর্থদণ্ড দিয়েছেন। আদালত তাঁকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে রাখার পরামর্শ দেন।

অন্যদিকে পৌর এলাকার জোড়বাগান মহল্লায় ‘বেবি ফুড’ নামে চানাচুর তৈরির কারখানায় বেলা পৌনে দুইটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় কারখানায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখা যায়। সেখানে ছিল না কোনো অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র। কারখানার মালিক মনিরুল ইসলাম কারখানা পরিচালনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। চানাচুর তৈরিতে যেসব উপাদানের কথা প্যাকেটে লেখা থাকে, সেগুলো চানাচুরের মধ্যে ছিল না। প্রতিটি ৪০ গ্রামের চানাচুরের প্যাকেটে প্রায় ৫ থেকে ১০ গ্রাম করে কম ছিল। তাই ভোক্তা অধিকার আইনে তাঁকে ১ মাস কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তিনিও অর্থদণ্ড নগদ পরিশোধ করেন। তাঁকেও কাগজপত্র ঠিক করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।