চাপের মুখে জেকেজিকে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়: অধ্যাপক নাসিমা

জেকেজি হেলথ কেয়ারের করোনা পরীক্ষা করা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বুধবার দুপুরে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে তাঁকে আধঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি বলেছেন, চাপের মুখে জেকেজিকে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়। যদিও অনুমতিপত্র সংবলিত ফাইল ডিবিকে দেখাতে পারেননি।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বুধবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

ডিবি সূত্র জানায়, ডিবির একটি দল বুধবার দুপুরের দিকে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যান। তাঁরা আগেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ডিবি পুলিশ জেকেজি হেলথকেয়ারকে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দেখতে চায়। এ সময় জেকেজির বিষয়ে নাসিমা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, জেকেজিকে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কিছু নেতাকে নিয়ে জেকেজির সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুল হক এসে করোনার পরীক্ষার জন্য তাঁদের চাপ দেন। সেই চাপের মুখে জেকেজিকে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অনুমতিপত্র সংবলিত ফাইল ডিবিকে দেখাতে পারেননি।

ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে পদত্যাগী মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে পরে মিন্টো রোডে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সরকারের কাছ থেকে বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থ নিচ্ছিল জেকেজি। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের আরিফুল ও সাবরিনাসহ সাবেক ও বর্তমান পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডিবি সাবরিনা ও আরিফকে রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

জেকেজির বিষয়ে পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার সনদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি।