মৃত্যুপথযাত্রী কুকুরকে বাঁচাল ফায়ার সার্ভিস

পরিত্যক্ত ঘরে আটকে পড়া একটি কুকুরকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিসের দল। ছবি: সংগৃহীত
পরিত্যক্ত ঘরে আটকে পড়া একটি কুকুরকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিসের দল। ছবি: সংগৃহীত

টানা বৃষ্টির কারণে কুকুরের থাকার জায়গাটি পানিতে ডুবে গিয়েছিল। কুকুরটির ঠাঁই হয়েছিল একটি পরিত্যক্ত ঘরের ওপর। গত মঙ্গলবার সেখান থেকে ১০-১২ ফুট নিচে ঘরের ভেতরে পড়ে যায় কুকুরটি। টানা দুই দিন কুকুরটি ওই ঘরের মধ্যেই আটকে পড়ে ছিল। টানা বৃষ্টিতে ভিজে আর খাবার না পেয়ে কুকুরটি দুর্বল হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। এগিয়ে আসেনি কেউ।

গতকাল বুধবার কুকুরটির উচ্চস্বরের ডাকে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশী কলেজশিক্ষক মো. মিজানুর রহমান। ধান সেদ্ধ করার কাজে ব্যবহারের পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে কুকুরটিকে দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন ওই শিক্ষক। ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের দল।

নাটোরের গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, কুকুরটি উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে তাতে সায় মেলেনি কর্তৃপক্ষের। কিন্তু পেশাগত দায়বদ্ধতা আর জীবের প্রতি ভালোবাসায় কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে (গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় পুরানপাড়া এলাকা)। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মই নামিয়ে দেন ওই ধান সেদ্ধ করার পরিত্যক্ত হাউসে। পরে এক ঘণ্টা চেষ্টার পর পায়ে রশি বেঁধে গতকাল বিকেলে ওপরে তোলা হয় কুকুরটিকে।

কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, দুই দিন ধরে খাবার না পেয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কুকুরটি হিংস্র হয়ে উঠেছিল। প্রতিরোধব্যবস্থা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের দলটি নিচে নেমে পুকুরের পায়ে রশি বাঁধতে ভয় পাচ্ছিল। পরে অদিতি রহমান নামের এক ছাত্রী নিচে নেমে রশিটি বেঁধেছিল। কারণ, ওই কুকুরটি ছিল তাদের পোষা।