তিস্তা নদীর পানি কমেছে

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে নদীলাগোয়া সানিয়াজান ইউনিয়নের পাক শেখ সুন্দর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: প্রথম আলো
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে নদীলাগোয়া সানিয়াজান ইউনিয়নের পাক শেখ সুন্দর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর পানি তৃতীয় দফায় বৃদ্ধির পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচে নামে।

গত মঙ্গলবার তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীবেষ্টিত ১৫টি চরাঞ্চল গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ তৃতীয় দফায় পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সূত্রমতে, লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় সেখানে ৫২ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

গত ২৬ জুন প্রথমবার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে ২৮ জুন পর্যন্ত টানা তিন দিন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ২৯ জুন বিপৎসীমার নিচে নামে।

১০ জুলাই দ্বিতীয়বার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ জুলাই পর্যন্ত টানা চার দিন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১২ জুলাই ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠলে তিস্তা ব্যারাজ ও ফাট বাইপাস এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে পাউবো কর্তৃপক্ষ। তবে পরের দিন সকালে পানি কিছুটা কমলে রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করা হয়। ১৪ জুলাই সেখানে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে নামলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।