কুমিল্লা কোভিড হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচজন

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে স্থাপিত কুমিল্লা কোভিড-১৯ হাসপাতালে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন দুই পুরুষ। অন্যদিকে কোভিডের উপসর্গ শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দিতে দুজন পুরুষ ও একজন নারী মারা গেছেন। হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ নিয়ে কুমিল্লায় কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৫০ দিনে মারা গেছেন ২৫৫ জন। দৈনিক গড়ে মারা গেছেন পাঁচজনের বেশি লোক। গত ৩ জুন হাসপাতালটি চালু হয়। ৪ জুন থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মারা যাওয়ার তথ্য প্রকাশ করে আসছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট,জ্বর, সর্দি নিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে আজ শুক্রবার ভোরে মারা গেছেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৪০ বছরের এক নারী। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় মারা গেছেন আদর্শ সদর উপজেলার ৭০ বছরের এক পুরুষ ও একই দিনে একই সময়ে দাউদকান্দি উপজেলার ৬৫ বছরের এক পুরুষ মারা গেছেন।

এদিকে হাসপাতালের আইসিইউতে করোনা পজিটিভ হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মারা গেছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ৫৬ বছরের একজন এবং রাত ৮টা ৫০ মিনিটে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ৫০ বছরের এক পুরুষ মারা গেছেন।

হাসপাতালের সহকারী সার্জন ও তথ্য কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বর্তমানে এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি ১১১ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১০ জন পুরুষ ও সাতজন মহিলাসহ মোট ১৭ জন। এই হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তি আছেন ৪৫ জন। এর মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী।

হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতাল চালু হওয়ার পর ৫০ দিনে মারা গেছেন ২৫৫ জন। কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও নোয়াখালী জেলার রোগীরা এখানে ভর্তি হন। এই পাঁচ জেলার অতি সংকটাপন্ন রোগীই এখানে মারা গেছেন। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’