বগুড়ায় কোভিডে ব্যবসায়ীসহ দুজনের মৃত্যু

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

বগুড়ায় কোভিড-১৯-এ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত আরও দুজন মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোররাত চারটা থেকে সকাল ছয়টার মধ্যে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন এবং অন্যজন বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে মারা যান।

বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোররাত চারটার দিকে মারা গেছেন কোভিডে আক্রান্ত একজন নারী। তাঁর নাম দীপালি সাহা (৬৫)। তাঁর স্বামীর নাম বিনয় বিহারি সাহা। বগুড়ার শেরপুর শহরের দক্ষিণ সাহাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ওই নারী গৃহিণী ছিলেন।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও হাসপাতালের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা (এইও) আবদুর রহিম প্রথম আলোকে কোভিডে একজন রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে ৬ জুলাই ওই রোগী টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড পরীক্ষার জন্য টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। ল্যাবরেটরি থেকে আসা প্রতিবেদনে ৮ জুলাই তিনি কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হন। আজ ভোরের দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীপালি সাহার লাশ সনাতন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য উপযোগী করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

অন্যদিকে, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টার দিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোভিডে মারা গেছেন মুনছুর আলী (৬৫) নামের এক রোগী। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুরের মাদ্রাসাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং চাল ব্যবসায়ী ছিলেন।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ কোভিডে একজন রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কোভিডে মারা যাওয়া রোগীর মেয়ে তাসলিমা খাতুন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কোভিডের উপসর্গ নিয়ে ওই রোগী শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জুলাই নমুনা দেন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হলে সেখানে থেকে আসা প্রতিবেদনে তিনি কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর ১৯ জুলাই তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে দাফনের জন্য তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বগুড়ায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯১ জন।