টাঙ্গাইলে এক দিনে ৭৭ জন কোভিডে আক্রান্ত

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

টাঙ্গাইলে এক দিনে সর্বোচ্চ ৭৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ ছাড়াল। এর মধ্যে ৭৩৬ জনই আক্রান্ত হয়েছেন জুলাই মাসে।

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারণে রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। আক্রান্তদের মধ্যে সাংসদ, মেয়র, চিকিৎসক, পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোক রয়েছেন।

আজ শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫০ জন, কালিহাতীতে ৬ জন, মধুপুরে ৫ জন, গোপালপুরে ও ধনবাড়ীতে ৩ জন করে, নাগরপুর, বাসাইল, ঘাটাইল ও ভূঞাপুরে ২ জন করে এবং দেলদুয়ার ও সখীপুরে ১ জন করে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ এপ্রিল। পরে এপ্রিল মাসে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা হয় ১৬৫ এবং ৩০ জুন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬১২। আর জুলাই মাসের ২৪ দিনে নতুন করে ৭৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

চিকিৎসকেরা জানান, জেলায় ঈদুল ফিতরের আগপর্যন্ত রোগীর সংখ্যা কম হওয়ার কারণ ছিল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন তেমন ছিল না। কিন্তু ঈদের আগে মার্কেট খুলে দেওয়া এবং লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। পরে দেখা যায়, ঈদের পরে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত (২৪ মে) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৬। ঈদের পর এক সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬৫।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কমাতে হলে সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়াই নিরাপদ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৮। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ২২ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ৫৮৮ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ১০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ওয়াহীদুজ্জামান জানান, এখন টাঙ্গাইলে ‘পিকআওয়ার’ চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং সচেতনতার অভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সুস্থতার হার সন্তোষজনক বলে তিনি জানান।