খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন কোভিড রোগী

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

খুলনা বিভাগে গত পাঁচ দিনের মধ্যে আজ শুক্রবার সবচেয়ে কম কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে খুলনা বিভাগে নতুন করে ২২৭ জন কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ১৯ জুলাই ১৮১ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। পর দিন এই সংখ্যা ছিল ২৬৮ জন। ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই শনাক্ত হয়েছিল যথাক্রমে ২৮০, ২৬৯ ও ২৪৭ জন। এই সময়ে সাতক্ষীরা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে নতুন করে কেউ শনাক্ত হননি। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টাসহ এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ২২৭। আজ যশোরে রোগী দেড় হাজার এবং বাগেরহাটে ৫০০ ছাড়িয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও মেহেরপুর বাদে অন্য সাত জেলাতেই রোগী ৫০০ ছাড়িয়েছে। বিভাগের ১০ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন মারা যাওয়ায় কোভিড–১৯ রোগে এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১৮৬। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে জুলাই মাসে মারা গেছেন ১১৪ জন। অর্থাৎ প্রায় ৬২ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে চলতি মাসে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ জানান, খুলনা বিভাগে নতুন করে ২১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ৫ হাজার ৩৩০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় বিভাগে সুস্থতার হার প্রায় ৫৩ শতাংশ।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন গত ১৯ মার্চ। পরবর্তী ৭৩ দিনে শনাক্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১২৫তম দিনে রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ২২৭ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় ৫২ জন, বাগেরহাটে ২৬, চুয়াডাঙ্গায় ২১, যশোরে ৬৯, কুষ্টিয়ায় ৩৪, মাগুরায় ১২ ও নড়াইলে ১৩ জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, খুলনা বিভাগে কোভিড–১৯ রোগে আক্রান্ত মোট ১০ হাজার ২২৭ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৮৮৬ জনই খুলনা জেলার। বিভাগের মোট রোগীর ৩৮ শতাংশ খুলনার। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৫১৫ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৪৯০, যশোরে ১ হাজার ৫৫৬, ঝিনাইদহে ৭৪৬, কুষ্টিয়ায় ১ হাজার ৩২৭, মাগুরায় ৩৬৭, মেহেরপুরে ১৪৩, নড়াইলে ৫৮১ ও সাতক্ষীরায় ৬১৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। বিভাগে কোভিড–১৯ রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ৫৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ২৯ জন, যশোরে ২২, সাতক্ষীরায় ১৯, ঝিনাইদহে ১৪, নড়াইলে ১১, বাগেরহাটে ১০, মাগুরায় ৮, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় ৭ জন করে মারা গেছেন।