চীনের গবেষণায় বাংলাদেশের অংশ নেওয়া উচিত: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, চীনের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের গবেষণায় বাংলাদেশের অংশ নেওয়া উচিত। এতে একটি চুক্তি থাকতে হবে যাতে দেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়।

আজ শনিবার গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘জনগণের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার রূপরেখা নিয়ে জনস্বাস্থ্য কনভেনশন-২০২০’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অনেকে জানি না, ভ্যাকসিন গবেষণা সময় সাপেক্ষ। অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু গবেষণায় সাফল্যের উৎপাদন মূল্য খুবই কম। সুতরাং আমাদের উচিত হবে চীনের এই গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া। এতে যদি আমরা সফল হই, তাদের সঙ্গে একটা চুক্তি থাকতে পারে যে সফলতার ৫০ শতাংশের মালিক হবে বাংলাদেশ। জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হবে।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের তৈরি ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়াল নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চীন একটা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়াল করতে চায়। অনুমতিও পেয়েছিল। দেশে যে কোনো গবেষণা করার অনুমতি দেওয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)। তাদের অনুমতি ক্রমেই আইসিডিডিআরবি’র এই গবেষণাটা শুরু করার কথা। এখানে চক্রান্তটা বুঝতে হবে। আজ পুঁজিবাদ চাইছে তৃতীয় বিশ্বটাকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে যাতে আমাদের অধিকারটা কাগজে-কলমে থাকে। আমাদের নিজেদের বিষয়টা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করি না। একটা ভ্যাকসিন গবেষণা হবে, এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এত মাথা ব্যথা কেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূতের প্রবেশ ঘটেছে। চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি অতীতে ইউরোপীয় কোম্পানির পক্ষে ভ্যাকসিন গবেষণা করেছে। তখন কিন্তু আপত্তি ওঠে নাই। আজ এখানে আপত্তিটা কেন? কারণ এখানে বিলিয়ন ডলারের ব্যাপার আছে। জনগণের স্বাস্থ্যের ব্যাপার আছে। এই ভ্যাকসিন ট্রায়াল যদি সফল হয়, তাহলে আমাদের এখানে বিরাট একটা অর্থ সাশ্রয় হবে।’

ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসি গবেষণার অনুমতি দিয়েছে কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেটাকে বন্ধ করে দিচ্ছে উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, 'এতে প্রমাণ হয় কী রকম চক্রান্তের দিকে আমরা যাচ্ছি। এখানে বিভিন্নভাবে তাদের চর, দালালেরা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা তৃতীয় বিশ্বের, বাংলাদেশের তো অবশ্যই স্বার্থবিরোধী। আমাদের জনগণকে বিষয়টা না বোঝাতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ওষুধের বাজারও বন্ধ হয়ে যাবে। এখানে চীনের সহায়তা নিয়ে আমাদের দ্রুত অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।’