টাঙ্গাইলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়াল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে আজ শনিবার নতুন করে আরও ৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে।

নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলাতেই রয়েছেন ৪৪ জন। এ ছাড়া বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্য, কালিহাতীতে দুজন এবং মির্জাপুর ও গোপালপুরে একজন করে রয়েছেন।

জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ হাজার ৪০৩। এর মধ্যে ৪৭৭ জনই টাঙ্গাইল শহর ও আশপাশের এলাকার। গত এক সপ্তাহেই শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৭ জন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণেই শহরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। গত এক সপ্তাহে শহরে আক্রান্তদের মধ্যে সাংসদ, চিকিৎসক, পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ এপ্রিল। পরে এপ্রিল মাসে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬৫ এবং জুন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬১২। এখন পর্যন্ত জুলাই মাসের ২৫ দিনে নতুন করে ৭৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

চিকিৎসকেরা জানান, জেলায় ঈদুল ফিতরের আগে রোগীর সংখ্যা কম ছিল। তখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন তেমন ছিল না। ঈদুল ফিতরের আগে জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই ছিল ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের অন্য এলাকা থেকে আসা। কিন্তু ঈদের আগে মার্কেট খুলে দেওয়া এবং লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। পরে দেখা যায়, ঈদের পর রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত (২৪ মে) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৬। ঈদের পর এক সপ্তাহেই রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬৫।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রামপদ রায় বলেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কমাতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় করার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়াই নিরাপদ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২২ জন। বর্তমানে ৬৩৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ১৩ জন এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, এখন টাঙ্গাইলে করোনা সংক্রমণের ‘পিক আওয়ার’ চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা ও সচেতনতার অভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। তবে সুস্থতার হার সন্তোষজনক বলে তিনি জানান।