বগুড়ায় তিন হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

বগুড়ায় কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়ে আরও দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তিনজন।

আজ শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন, বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে একজন এবং কোভিড ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।

বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে করোনা পজিটিভ একজন পল্লিচিকিৎসক মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলমবাজারের বাসিন্দা।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম (এইও) জানান, কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে ১২ জুলাই এই পল্লিচিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিনই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৩ জুলাই পাওয়া প্রতিবেদনে তিনি কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর মরদেহ হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদীপা গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক।

হাসপাতালের প্রশাসন সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জুন নমুনা দেন। তাতে তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর ২৯ জুন তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

একই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোভিড-১৯-এর উপসর্গ নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান ৭৭ বছরের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর গ্রামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে কোভিডের উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার আগেই আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া কোভিড ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে আজ দুজন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৫৮ বছরের একজন ফলস পজিটিভ রোগী রয়েছেন। তিনি পেশায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের গাড়িচালক। বাসা বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকায়। আরেক দফা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।

কোভিডের উপসর্গ নিয়ে বেলা তিনটায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৭০ বছরের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা। করোনার উপসর্গ নিয়ে আজই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত বগুড়ায় কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৪৬ জন। এর মধ্যে কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৫ জন।