চিংড়িতে এবার অনেক 'কাঁটা', সংকটে সবাই

দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকার ঘেরমালিকদের কাছ থেকে চিংড়ি কিনে রূপসা পাইকারি আড়তে আনা হয় বিক্রির জন্য। আড়তে দরদাম করছেন ফড়িয়ারা। ১৫ জুলাই সকালে।  ছবি: প্রথম আলো
দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকার ঘেরমালিকদের কাছ থেকে চিংড়ি কিনে রূপসা পাইকারি আড়তে আনা হয় বিক্রির জন্য। আড়তে দরদাম করছেন ফড়িয়ারা। ১৫ জুলাই সকালে। ছবি: প্রথম আলো

১৫ জুলাই, বেলা একটা। খুলনা নগরের অন্যতম প্রবেশদ্বার রূপসা ঘাট। পাশেই মাছের পাইকারি আড়ত। দোকানি সেলিম শিকদার কিছু পান বানিয়ে সাজিয়ে রাখছিলেন। কেমন চলছে জানতে চাইলে বললেন, ‘এখন বাগদা চিংড়ির ভরা মৌসুম। কিন্তু এবার মাছ কম। তাই ঘাটে ট্রলারও কম। আমারও বেচাবিক্রি কম।’

কথা বলতে বলতেই গোঁ গোঁ শব্দে একটা ট্রলার ঘাটে ভিড়ল। মুহূর্তেই বদলে গেল চারপাশের দৃশ্য। হইচই করে ঘাটের কুলি, শ্রমিকেরা ট্রলারে গেলেন। মাথায় মাছের ড্রাম নিয়ে ছুটতে লাগলেন পাইকারের দোকানের দিকে। সমানতালে চলতে থাকল হাঁকডাক, মাপজোখ, দরদাম।

ঘাটে ভেড়া ট্রলারটির মালিক শেখ রবিউল ইসলাম। দাকোপ থেকে ২০ বছর ধরে মাছ আনা-নেওয়া করেন। রবিউল বলেন, ‘দুই ঈদের দিন বাদে বছরের ৩৬৩ দিন ট্রলারে করে মাছ টানি। করোনায় অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আগের বছর এ রকম সময়ে দিনে কমপক্ষে ১০০ ড্রাম করে মাছ এনেছি। এখন সর্বোচ্চ ২০-২৫ ড্রাম।’

কথার ফাঁকে হঠাৎই ঝুম বৃষ্টি। দৌড়ে তিন-চারজন সেলিমের দোকানে এসে পান চাইলেন। তাঁরা ফড়িয়া। এখান থেকে মাছ কিনে কোম্পানির কাছে বিক্রি করেন। তাঁদের একজন উত্তম মজুমদার। তিনি বললেন, ‘এখান থেকে চিংড়ি কিনে বিক্রি করলে কেজিতে ১০০ টাকার বেশি লাভ হইত। এখন ২০ টাকাও হচ্ছে না।’

মাছের দাম যে কমেছে, তা মুখের কথায় নয়, কাগজে-কলমে প্রমাণের তাগিদ দিলেন উত্তমের বন্ধু ব্যবসায়ী আনছার আলী। তাঁর তাগাদায় উত্তম বুকপকেট থেকে কিছু ক্যাশ মেমো বের করলেন। কিছু মেমো করোনার আগের ফেব্রুয়ারি, আর কয়েকটি জুনের। দুটি মেমো মিলিয়ে দেখালেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ৮ গ্রেডের গলদার দাম ছিল ২ হাজার ১০০ টাকা। একই দিন জুনে তা ১ হাজার ৩৩০ টাকা। ৮ গ্রেডের বাগদা আগে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, এখন ৮৪৫ টাকা। ১২, ১৫ ও ২০ গ্রেডের বাগদার দাম আগের চেয়ে দেড় শ-দুই শ টাকা ফারাক।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় সবচেয়ে বেশি চিংড়ি চাষ হয়। ঘেরের মালিক ও খামারিরা উৎপাদিত চিংড়ি নিজেরা আড়তে সরবরাহ করেন। আর হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আড়তদার ও এজেন্টদের কাছ থেকে চিংড়ি সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করেন।

চিংড়ির খামারি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, চার বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে চিংড়ির রপ্তানি কমছে। বিশেষ করে এবার করোনার শুরুর দিকে রপ্তানিকারকদের একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হতে থাকে। এতে পরিস্থিতি আরও বেসামাল হয়ে পড়ে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো চিংড়ি সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়। সেই প্রভাব এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত লাখো চাষি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ওপর পড়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩০ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৩৬ কোটি ১১ লাখ ডলারের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়। তখনো রপ্তানি কমেছিল ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

হিমায়িত খাদ্য রপ্তারিকারকেরা বলছেন, এখন আবার নতুন করে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি শুরু হয়েছে। মূলত ইউরোপেই হচ্ছে। প্রথম দিকে ৬-৭টি কোম্পানি রপ্তানি শুরু করে আস্তে আস্তে বাড়ছে। এখন সব কারখানাই কমবেশি মাছ কিনছে। তবে গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম রপ্তানি হচ্ছে।

সংকটে আধা নিবিড় পদ্ধতির খামারিরা
কম জায়গায় অনেক বেশি উৎপাদিত হওয়ায় কয়েক বছর ধরে খুলনা অঞ্চলে আধা নিবিড় পদ্ধতির খামারের সংখ্যা বেড়েছে। চাষিরা কয়েক বছর ধরে ভালো ফল পেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

বটিয়াঘাটা সেতু থেকে তিন কিলোমিটার পিচের রাস্তার পর ইট বিছানো রাস্তা। এই রাস্তা ধরে কিছুদূর যেতেই বিজয় বৈরাগীর আধা নিবিড় চিংড়ি উৎপাদন খামার। খামারের চারপাশ সুন্দর করে ঘেরা। পুকুরগুলোতে অ্যারেটর মেশিন চলছে। পুকুরের পাড়ে তিন-চারজন মানুষ বসা। গ্রামের নাম পাথরিঘাটা।

পুকুরে জাল ফেলতে ফেলতে বিজয় বললেন, ‘করোনার কারণে এ বছর লোক জোগাড় করতে পারিনি। তাই নিজেই মালিক, নিজেই কর্মচারী।’ দুবার জাল ফেলে অনেকগুলো চিংড়ি ধরে ২ কেজি মেপে দেখলেন, গড়ে ২৩টায় কেজি হচ্ছে। খুলনায় পরিচিত মাছের আড়তদারের কাছে ফোন করে দাম জানলেন। ফোন রেখে হতাশার সুরে বললেন, গত বছর এই সাইজের মাছ ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার ৬০০ টাকাও বলে না। গত বছর চারটি পুকুরে তাঁর ২৭ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯ লাখ খরচ হয়েছে, এখনো অনেক খরচ বাকি।

যে চিংড়ি ধরা হয়েছিল, সেগুলোর বয়স ৪ মাস ১০ দিনের মতো। মাছগুলো বয়স অনুযায়ী নাকি বড় হয়নি। বিজয় বৈরাগী বলছিলেন, ‘এবার মাছের পোনা ছাড়ার সময় থেকে সমস্যা। ভালো মানের খাবার দিতে পারিনি। লোকাল খাবার দিয়েছি। যে ওষুধ যখন দেওয়ার কথা, তা দিতে পারলাম না। খাবারের সংকট এখনো। সব মিলিয়ে খুব আতঙ্কে আছি।’

সেখানে বসে কথাগুলো শুনছিলেন অসীম মণ্ডল। কাছারিবাড়ি হাটবাটি গ্রামে বাড়ি তাঁর। তাঁরও চিংড়ির খামার আছে। স্থানীয় খামারিদের সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিনি। বললেন, মাছ ছাড়ার পর থেকে খাবার ঠিকমতো পায়নি। এই চিংড়ি খাবার আর ওষুধের ওপর নির্ভরশীল। এগুলো না মিললে যে কী খারাপ অবস্থা তৈরি হয়, তা চাষিই জানেন।

ফেরার পথে চক শোলমারী গ্রামের খামারি মানস মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বললেন, ‘করোনার এই সময় আমাদের চরম ভুল হয়েছে পন্ডে (পুকুর) মাছ দেওয়া। এবার সবাই ধরা, কঠিন ধরা।’

আধা নিবিড় পদ্ধতির একজন বড় চাষি খুলনার দাকোপের আবুল ফিস প্রোডাক্টসের মালিক শেখ আবুল হোসেন। ৬৮টি পুকুরে এবার চাষ করেছেন। তিনি বললেন, চিংড়ি চাষের সব উপকরণ আমদানিনির্ভর। ভারত থেকে আমদানি দু-তিন মাস পুরো বন্ধ থাকায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

গলদা উৎপাদন কমার আশঙ্কা
দেশে মোট ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে গলদার চাষ হয়। পোনার প্রয়োজন হয় ১৬০ থেকে ১৭০ কোটি। তবে চলতি বছর গলদার পোনার চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বিরাট ফারাক থাকায় চাষিরা ঠিকমতো পোনা ছাড়তে পারেননি। এতে করে উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

মূলত তিনটি উৎস থেকে বাংলাদেশে গলদার পোনার চাহিদা মেটে। প্রাকৃতিক উৎস, হ্যাচারি ও ভারত থেকে বেআইনিভাবে আসা পোনার ওপর চাষিরা নির্ভরশীল থাকেন।

উইনরক ইন্টারন্যাশনালের গলদা বিশেষজ্ঞ সুকুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, সব উৎস থেকেই এবার পোনা অনেক কম ছিল। এবার উৎপাদনে থাকা দেশের ছয়টি বেসরকারি গলদার পোনার হ্যাচারি থেকে প্রায় দুই কোটি পোনা সংগ্রহ করা গেছে। নদী থেকে অন্যবার ৮০ থেকে ১০০ কোটি পোনা পাওয়া গেলেও এবার নদীতে খুব বেশি পোনা পাওয়া যায়নি। আর ভারত থেকে সাতক্ষীরা হয়ে যে পোনা আসে, তা–ও এবার আসেনি। উৎপাদনে এর একটা বড় প্রভাব পড়বে।

বাগেরহাটের ফকিরহাটের হিটলার গোলদার দুই যুগের বেশি সময় ধরে গলদা চিংড়ি চাষ করছেন। বর্তমানে ২৫ বিঘা জমিতে গলদার ঘের আছে তাঁর। কথায় ক্ষোভ ঝরল হিটলারের, ‘খাবারের দাম বেশি, পোনার দাম বেশি আবার গলদার দাম কম, এভাবে চাষি কীভাবে বাঁচবে! এ বছর পোনার সংকট প্রকট ছিল। দামও ছিল অনেক বেশি। চাহিদামতো পোনা ছাড়তে পারিনি।’

করোনার পর আম্পান
চিংড়িচাষি ও ব্যবসায়ীরা পুঁজিসংকট কাটিয়ে ওঠার আগেই ঘূর্ণিঝড় আম্পান বহু চিংড়িচাষির ক্ষতি করেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের তিন জেলা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ির চাষ হয়। আম্পানে ওই তিন জেলায় ২৭৯ কোটি টাকার চিংড়ির ক্ষতি হয়েছে।

পাইকগাছা উপজেলার ঘের ব্যবসায়ী ও খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ঘেরে বড় বাগদা যেটা ছিল, আম্পানের পর সেটা আর পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে পোনার সংকট সারা বছর লেগে আছে। চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পোনাও আমরা পাইনি। পোনার অতিরিক্ত দামও ছিল। যে পোনা গত বছর আড়াই শ, তিন শ টাকা ছিল, এবার নয় শ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। আবার ঘেরের ইজারা মূল্য বেশি। অথচ বাগদার উৎপাদন যেমন কমেছে, দামও সে হারে কমেছে।’

খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এইচ এম বদরুজ্জামান বলেন, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ও ঘেরমালিকদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সংকটে রপ্তানিকারকেরা
করোনার শুরুতে রপ্তানিকারকদের ২৯৯টি ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিল হয়েছিল। চিংড়ির চাহিদা বিশ্ববাজারে এখনো বাড়েনি। দামও বেশ পড়ে গেছে। গত বছর ১৬ থেকে ২০ গ্রেডের যেসব হিমায়িত চিংড়ির প্রতি পাউন্ডের দাম ছিল গড়ে ৬ ডলার, সেখানে বর্তমানে ৪ ডলার ৮০ সেন্ট থেকে ৪ ডলার ৯০ সেন্টের বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। একদিকে বাগদার পুরো মৌসুম চলছে, অন্যদিকে কারখানাগুলোতে পণ্য মজুত হয়ে গেছে। রপ্তানিকারকদের হাতে নগদ টাকা নেই।

ট্রাস্ট সি ফুড লিমিটেডের জিএম লুৎফর রহমান বলেন, ‘করোনাকালীন সংকট তো আছেই, তা ছাড়া কাঁচামালের অভাবে আমাদের কোম্পানিগুলো এমনিতেই রুগ্ণ হয়ে যাচ্ছে। অনেক চাষি এবার করোনার কারণে চাষে আসেননি।’

এদিকে আগের মজুত চিংড়ি পুনরায় বিক্রি করার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে আগের ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী যেসব পণ্য প্রস্তুত করা হয়েছিল, নতুন ক্রেতার চাহিদার সঙ্গে তা পুরোপুরি মিলছে না। এতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারঘোষিত প্রণোদনা এখনো কেউ পায়নি। ব্যাংকগুলো ১৩-১৪টা শর্ত দিচ্ছে। যে পরিমাণ ঋণ নিতে হবে, সেই পরিমাণ জামানত দিতে হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো তো আগেই বিভিন্ন সময় ঋণ নেওয়ার বিপরীতে জামানত দিয়ে দিয়েছে। প্রণোদনার টাকা পেলে আরও কোম্পানি মাছ কিনতে পারত।

ভেনামিতে সমাধান দেখছেন রপ্তানিকারকেরা
সংকট থেকে উত্তরণ এবং রপ্তানি বাজার ধরে রাখতে অধিক উৎপাদনশীল ভেনামি চিংড়ি উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেছেন রপ্তানিকারকেরা। বর্তমানে বিশ্বে রপ্তানি হওয়া চিংড়ির ৭৭ শতাংশই ভেনামি। এটি হচ্ছে হাইব্রিড জাত।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ‘ভেনামি দামে খুব সস্তা। আর ক্রেতারা কম দামে পাওয়ায় ভেনামিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সে জন্য আমাদের চিংড়ির চাহিদা কমেছে। এ ছাড়া চিংড়ি উৎপাদন কমে যাওয়ায় তা রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আছিয়া সি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল ইসলাম বলছিলেন, ভেনামি প্রচুর উৎপাদিত হয়। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। যাদের একটা কারখানা ছিল, তাদের তিনটা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আগে বিশ্ববাজারে আমাদের চিংড়ির অবদান ছিল ৩০ শতাংশ, এখন সেটা ২-৩ শতাংশ। আমরা কাঁচামালের অভাবে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি।’

বিএফএফইএর সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তর সম্প্রতি পরীক্ষামূলক ভেনামি চাষের অনুমতি দিয়েছে। যদিও আরও ১৫ বছর আগে অনুমোদন দেওয়া উচিত ছিল। পাইকগাছায় এটা পাইলট প্রকল্প আকারে শুরু করা হবে।