খুলনায় ২২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন কোভিড রোগী শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা বিভাগে ২২ দিনের মধ্যে আজ সোমবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে কম শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে খুলনা বিভাগে নতুন করে ১৫৪ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভাগের ১০ জেলায় এই সময়ে ২ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছুঁয়েছে। বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৮৪৯ জনের।

৫ জুলাই ১০২ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। পরের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৭০। এরপর আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা শুধু বাড়তে থাকে। ১৯ জুলাই শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ২০০-এর নিচে নেমে ১৮৩ জন হয়। এরপর আবার প্রতিদিন ২০০ জনের বেশি শনাক্ত হয়ে আসছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ জানান, বিভাগে নতুন করে ১৯৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ৫ হাজার ৯৯৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় বিভাগে সুস্থতার হার প্রায় ৫৬ শতাংশ।
বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ। পরবর্তী ৭৩ দিনে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। গতকাল ১২৮তম দিনে রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার ছাড়ায়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হওয়া ১৫৪ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় ৫৩, বাগেরহাটে ৩, চুয়াডাঙ্গায় ৭, যশোরে ২, ঝিনাইদহে ৭, কুষ্টিয়ায় ৩৪, মাগুরায় ১০, নড়াইলে ৩০ এবং সাতক্ষীরার ৮ জন রয়েছেন। এই সময়ে মেহেরপুরে নতুন করে কেউ শনাক্ত হননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাবে, বিভাগে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ১০ হাজার ৮৪৯ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৬৩ জনই খুলনা জেলার। বিভাগের মোট রোগীর ৩৮ শতাংশ খুলনার। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৫৪৪, চুয়াডাঙ্গায় ৫১৮, যশোরে ১ হাজার ৬৩১, ঝিনাইদহে ৮১৬, কুষ্টিয়ায় ১ হাজার ৪১৪, মাগুরায় ৩৯৬, মেহেরপুরে ১৫১, নড়াইলে ৬৫৫ ও সাতক্ষীরায় ৬৬১ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
বিভাগে কোভিড-১৯-এ মৃতের সংখ্যা এখন ২০০। এর মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ৬৪ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ৩১, যশোরে ২৩, সাতক্ষীরায় ২০, ঝিনাইদহে ১৬, নড়াইল ও বাগেরহাটে ১১ জন করে, চুয়াডাঙ্গায় ৯, মাগুরায় ৮ ও মেহেরপুরে ৭ জন মারা গেছেন।