বন্যায় মানুষের যত সহযোগিতার প্রয়োজন, তা দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

বন্যার কারণে মানুষের যত রকমের সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন, তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।

পরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আগের মতো আজও ভার্চ্যুয়ালি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবেরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এতে যুক্ত হন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন মানুষের যত রকমের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন, তা দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে কোভিড-১৯–এর এই সময়ে বন্যার কারণে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের মাঠপর্যায়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা অবশ্যই সেখানে থাকবেন। রোপা আমনের বিষয়ে মনোযোগী থাকতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকার স্কুল-কলেজে যেন মানুষ আশ্রয় নিতে পারে, সে বিষয়েও ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। ত্রাণ, পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ও স্যালাইন দেওয়ার কথা বলেছেন। মূল কথা ছিল, বন্যা দীর্ঘ হলে যেন তা মোকাবিলা করা যায়।

বৈঠকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর খসড়াটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে ভেটিং, আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে আবার সেটি উপস্থাপন করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসা বোর্ড অধ্যাদেশে চলছে। এখন সেটিকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মাদ্রাসা বোর্ডের চাকুরেরা সরকারি চাকরিজীবী হলেও তাঁদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। কিন্তু দেশের সাধারণত সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৯ বছর।

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থায়নে নেপালের লুম্বিনীতে একটি বৌদ্ধবিহার নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও নেপালের লুম্বিনী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া। এ ছাড়া গত এপ্রিল থেকে জুন মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।