কুমিল্লায় অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচা

কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় জেলা প্রশাসন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাটবাজারে গিয়ে গরু কেনাবেচাকে নিরুৎসাহিত করে আসছে। এ জন্য মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসে কোরবানির পশু কেনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবিত কুমিল্লা অনলাইন পশুর হাটে গত মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনেই ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকার গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার গরু।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও ১৭টি উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তার ওপর এখন শ্রাবণ মাসে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামছে। এই সময়ে গ্রামবাংলার হাটবাজার ও সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় প্রযুক্তির কল্যাণে পশুর হাটে না গিয়েও কোরবানির পশু কেনা সম্ভব। মঙ্গলবার থেকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কুমিল্লা অনলাইন পশুর হাট চালু করেছে। মুঠোফোনে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ দিতে হবে অথবা www. cumillapasurhat. com ভিজিট করলে কোরবানির পশুর তথ্য পাওয়া যাবে।

এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী চৌধুরী বাড়ির মিনা অ্যাগ্রো ফার্ম, আদর্শ সদর উপজেলার জেডএইচ অ্যাগ্রো ফার্ম, দাউদকান্দি উপজেলার মা ফরিদা ডেইরি অ্যান্ড অ্যাগ্রোভেট খামারসহ জেলার অন্তত শতাধিক খামারকে অনলাইনে পশু বিক্রির আওতায় নিয়ে এসেছে। মিনা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মোফাজ্জল হক বলেন, ‘অনলাইনে গরু বিক্রি করে আনন্দ পাচ্ছি। ক্রেতার কোনো ভেজাল নেই। আমরা গরু বিক্রির পর ক্রেতার বাড়িতে সেটি পৌঁছে দিচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, ‘কুমিল্লা জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ২ লাখ ৩৪ হাজার। এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পরে ৩৪০টি পশুর হাটে যেতে পারবেন। মাস্ক না থাকলে জরিমানা করা হবে। তবে আমরা চাই, অনলাইনে ঘরে বসে মানুষ কোরবানির পশু কেনাবেচা করুক। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। অনলাইনে প্রথম দিনেই প্রায় ৫৯ লাখ টাকার পশু বিক্রি হয়েছে। কুমিল্লার বড় গরুর খামারিরা অনলাইনের আওতায় আছেন। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত গরু কেনাবেচা চলবে।’