২৫ মণ ওজনের 'জন র্যাম্বো'

১ হাজার কেজি ওজনের এই ষাঁড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। সোমবার ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার নিশ্চিন্তপুরে। ছবি: প্রথম আলো
১ হাজার কেজি ওজনের এই ষাঁড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। সোমবার ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার নিশ্চিন্তপুরে। ছবি: প্রথম আলো

সারা দেহ তুষার ধবল, মাথা ও গলায় ছোপ ছোপ কালো রঙ। ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ষাঁড়টির ওজন ১ হাজার কেজি বা ২৫ মণ। ষাঁড়টির মালিক ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার নিশ্চিন্তপুরের মাসুমা খানম। তিনি এই কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা। গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমছে মাসুদার বাড়িতে।

২০১৩ সালে ৪৫ হাজার টাকায়ে একটি গাভি কিনে গরু পালন শুরু করেন মাসুমা। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ২০১৭ সালে এই ষাঁড়ের জন্ম দেয় গাভিটি। জন্মের পর বাছুরটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রয়োজনমতো খাবার ও পরিচর্যায় গরুর আকৃতি বাড়তে থাকে। আদর করে নাম দেন ‘সাদা পাহাড়’। দিনে দিনে গরুটির ওজন বেড়ে ১ হাজার কেজিতে এসে দাঁড়ায়। ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে পরিমাপ করে গরুটির ওজন নিশ্চিত হয়েছেন তিনি। পরে তাঁর পরিবারের লোকজন গরুটির নাম বদলে দেন ‘জন র‌্যাম্বো’। এ বছর মাসুমা গরুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মাসুমা জানান, এর খাদ্যতালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা ও খুদের ভাত। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক মণ খাবার খায়। শুরুর দিকে খাবার কম খেলেও দিনে দিনে তার খাবারের পরিমাণ বাড়ে।

মাসুমা বলেন, ‘এ ধরনের গরু লালন–পালন খুবই কষ্টের। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে আমরা গরুটি পালন করেছি। পরিবারের সবাই মিলে যত্ন নিয়ে বড় করেছি। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। ১০ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। তবে করোনাভাইরাস ও পশুর চর্মরোগ লাম্পি স্কিনের কারণে ক্রেতারা গরুটির দাম বলছে অনেক কম।’