জয়ের রূপকল্পেই ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী

‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ অতিথিরা। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি
‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ অতিথিরা। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রূপকল্পেই বাংলাদেশ ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার জন্মদিন উপলক্ষে ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় ও প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান এ সময় বক্তব্য দেন। গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অনলাইনে যোগ দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান যেখানে আমরা দিয়েছি ২০০৮ সালে, সেখানে ডিজিটাল ভারতের স্লোগান এসেছে ২০১৪ সালে, এমনকি যুক্তরাজ্যও আমাদেরও কয়েক বছর পর ডিজিটাল দেশ রচনার স্লোগান দিয়েছিল। অর্থাৎ প্রথম তিনটি শিল্পবিপ্লবে আমাদের এই জনপদ পিছিয়ে থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ ও ভবিষ্যৎ–দ্রষ্টার কাছ থেকে ধারণা আসার কারণে আমরা ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আগের মতো চলাচল করতে পারছি না, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা করা যে কত প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা অনুধাবন করতে পারছি। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করছে, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে, ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিক সেবা একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।’

২০১০ সালে ইউএনডিপির তৎকালীন মহাপরিচালক হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে চর কুকরি-মুকরিতে ডিজিটাল সেন্টার তথ্য বাতায়ন কেন্দ্র উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তখন সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছিলাম। আর হেলেন ক্লার্ক নিউইয়র্কে গিয়ে তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, চর কুকরি-মুকরিতে ইন্টারনেটের যে গতি পেয়েছি, তা অনেক সময় নিউইয়র্কেও পাওয়া যায় না, এমনভাবেই তখন থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছেছে।’

‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের প্রকাশক, সম্পাদক ও প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জাকারসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জয়ীতা প্রকাশনী দুটি বই প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে এই জন্মদিনকে আরও অর্থবহ করেছে বলে আমি মনে করি।’

১১২ পৃষ্ঠার বইয়ে দেড় শতাধিক সংবাদচিত্র স্থান পেয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শিরোনামে আরও একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি