হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ সবাই যাতায়াত করছেন নৌকায়

কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ সবাই যাতায়াতের জন্য নৌকা ব্যবহার করছেন। ছবি: প্রথম আলো
কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ সবাই যাতায়াতের জন্য নৌকা ব্যবহার করছেন। ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে কুমুদিনী হাসপাতালের ভেতরেও নৌকা চলছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলাচলে নৌকা ব্যবহার করছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে তুলনামূলকভাবে পানি আরও বেশি বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যক্তিরা।

বন্যার পানির মধ্যেই রোগী বহন করতে স্ট্রেচার নিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো
বন্যার পানির মধ্যেই রোগী বহন করতে স্ট্রেচার নিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো

মির্জাপুরের লৌহজং নদের তীরঘেঁষা ১ হাজার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুমুদিনী হাসপাতালের নালার মাধ্যমে গত সপ্তাহে বন্যার পানি ঢুকতে থাকে। প্রথম অবস্থায় সেচের ব্যবস্থা করলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পুরো কুমুদিনী চত্বরজুড়ে বন্যার পানি চলে আসে। হাসপাতালে চলাচলের সুবিধার্থে প্রথম অবস্থায় ইট বিছানো হলেও তাতে আর কাজ হচ্ছে না। অধিকাংশ স্থানে হাঁটুপানির বেশি। কোনো কোনো স্থানে কোমরপানিও হয়ে গেছে। এতে চলাচলের সুবিধার্থে হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ এবং মেডিকেল কলেজ সংশ্লিষ্টরা নৌকা ব্যবহার করছেন।

মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল চত্বরে বন্যার পানি। ছবি: প্রথম আলো
মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল চত্বরে বন্যার পানি। ছবি: প্রথম আলো

কুমুদিনী হাসপাতালের আইটি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পানি বাড়লেও আমাদের কার্যক্রম থেমে নেই। আমরা সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই করে যাচ্ছি। মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’

ভারতেশ্বরী হোমসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক কবি ও সাহিত্যিক হেনা সুলতানা বলেন, ‘পুরো ক্যাম্পাসে পানি। তবে কাজ তো থেমে থাকে না। আমরা চলাচলের জন্য রিকশার পাশাপাশি নৌকাও ব্যবহার করছি।’

মির্জাপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে বাড়িতে বাড়িতে পানি ঢোকাও অব্যাহত আছে। আজও নতুন করে আরও প্রায় ৫০টি বাড়িতে পানি ঢুকেছে।