ইউনিয়ন পরিষদের ৮০টি গাছ পানির দরে বিক্রি

নিয়ম ভেঙে নামমাত্র মূল্যে ইউনিয়ন পরিষদের ৮০টি গাছ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনির আহমেদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিনসহ তিনজন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের কাছে গাছ বিক্রির দরপত্র বিজ্ঞপ্তি রেজুলেশনসহ বিভিন্ন তথ্য তলব করেছেন ইউএনও।

অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা জানিয়েছেন, ৮০টি গাছের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩০টির মতো গাছ কাটা হয়ে গেছে। গাছগুলোর বাজারমূল্য ৭ লাখ টাকা হলেও সেগুলো মাত্র ৭৫ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পুকুরের পূর্বপাড়ে গাছ কেটে খণ্ড খণ্ড করে রাখা হয়েছে। অনেক গাছের ঢালপালা কেটে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, তিনি চেয়ারম্যানের কাছে যথাযথ কাগজপত্র চেয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমদের দাবি, যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে রেজুলেশনের মাধ্যমে নিলামে পুরোনো ও অকেজো গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। গাছ কাটার পর নতুনভাবে আবারও গাছ লাগানো হবে।

তবে প্যানেল মেয়র কফিল উদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান এককভাবে নিতে পারেন না। কোনো সভা, রেজুলেশন ছাড়াই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন অভিযোগের পর নারী ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ইউপি সদস্যকে ফোন দিয়ে রেজুলেশনে স্বাক্ষর দিতে বলছেন চেয়ারম্যান। দুই নারী সদস্য ভয়ে স্বাক্ষর দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের দুই অনুসারী সদস্য স্বাক্ষর করলেও বাকি সদস্যরা কিছু জানেন না বিধায় স্বাক্ষর করেননি।

ইউপি সদস্য মো. বাবলু ও জুহুরুল আলম বলেন, গাছ বিক্রি করতে হলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাযথ দরপত্র আহ্বান করতে হবে। দর যথাযথ না হলে একাধিকবার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান তা করেননি। কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। গাছ কাটতে হলে ইউএনওকে জানাতে হয়। তাও তিনি করেননি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মনির আহমদ বলেন, পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্তে দু-একজনের ভিন্নমত থাকতে পারে। ইউএনওর তলব করা কাগজপত্র তিনি জমা দেবেন।