ঢাকা কলেজে একাদশের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে

অনলাইনে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার কলেজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, গত রোববার ঢাকা কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের অনলাইন সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো- একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা আগামী ২০ই আগস্ট থেকে অনলাইনে এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে। প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া দ্বাদশ শ্রেণির প্রতি বিষয়ের সিলেবাসের অধ্যায়সমূহকে ৫টি ভাগে বিভক্ত করে ২০ নম্বর করে মোট ৫টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এছাড়া উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১লা এপ্রিল থেকে ঢাকা কলেজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকেরা। এবার অনলাইনেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে। তবে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে শিক্ষার্থীরা। একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমাদের অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। আমি গ্রামের বাড়ি থাকার কারণে নেট ও বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট। সব সময় তাই ক্লাস করতে পারি না। এখন অনলাইন ক্লাসের সময় অনুযায়ী এ বিভ্রাট হবে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান।

মানবিক বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীর বাড়ি পঞ্চগড়। তিনি জানান, অনলাইনে শুরুর দিকে কিছু ক্লাস করতে পারলেও নেট বিভ্রাটে এখন করতে পারছি না। জানি না এর মধ্যেও পরীক্ষা কেমন হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের কথা চিন্তা করেই আমরা এই মহামারির মধ্যেও ক্লাস নিচ্ছি। শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে এসে লাইভ ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে আরেকটু মনোযোগী হয় সে জন্যই অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা। তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে নির্বিঘ্নে ক্লাস করছেন। আমাদের ছাত্রদের পাশাপাশি দেশের অনেক শিক্ষার্থী আমাদের ফেসবুক পেজের ক্লাস দেখে উপকৃত হচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস আমাদের চলমান থাকবে।