ঈদে স্বজনদের রান্নার স্বাদ পাবেন না কারাবন্দীরা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কারাগারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণঝুঁকি কমাতে এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় কারাগারে বন্দীদের সঙ্গে তাঁদের স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকছে। বন্দীদের স্বজনদের রান্না করা খাবারও কারাগারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রাখাসহ কারা কর্তৃপক্ষ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও কারাগারগুলোতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পারেনি।

কারা অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ঈদে স্বজনেরা বাসার রান্না করা খাবার বন্দীদের জন্য দেশের বিভিন্ন কারাগারে নিয়ে যান। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সাক্ষাৎ বন্ধ রাখার পাশাপাশি এবার ঈদুল আজহায় বাইরের খাবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঈদের দিন কারাগারে বন্দীদের উন্নত খাবার দেওয়া হবে।

এমনকি ঈদের দিনে সব বন্দী স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথাও বলতে পারবেন না। এমনিতে এখন প্রতি সপ্তাহে একজন বন্দী তাঁর পরিবারের সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট কথা বলার সুযোগ পান। প্রতিটি কারাগারে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০ বন্দী থাকেন এবং আড়াই শ বন্দীর জন্য একটি মুঠোফোনে কথা বলার ব্যবস্থা আছে। গতকাল পর্যন্ত দেশের ৬৮টি কারাগারে ৭৫ হাজার ৪০ জন বন্দী ছিলেন।

কারা অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ মনজুর হোসেন বলেন, ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন বন্দীরা যাতে পালা করে কথা বলতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ ছড়াচ্ছে
গতকাল পর্যন্ত ১৭টি কারাগারে চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, জেলার, ডেপুটি জেলার, কারারক্ষী, কর্মচারী, কারারক্ষী ও কর্মচারীদের সন্তান মিলে ১০১ জন করোনায় আক্রান্ত আছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৪ জনই কারারক্ষী।

সাজা মওকুফ
প্রতিবছর সরকার দুই ঈদে কিছু কয়েদির কারাদণ্ড মওকুফ করে আসছে। এবারও নয়জন কয়েদিকে বিশেষ বিবেচনায় সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।