৩০০ টাকার হাসিল এক হাজার টাকা, দুজনের দণ্ড

অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিরুদ্ধে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার অভিযান। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলার সর্ববৃহৎ পশুহাট মৌখড়ায়। ছবি: প্রথম আলো
অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিরুদ্ধে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার অভিযান। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলার সর্ববৃহৎ পশুহাট মৌখড়ায়। ছবি: প্রথম আলো

নাটোরের বড়াইগ্রামের মৌখড়া পশুহাটে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে ইজারাদারের দুই প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাঁদের গ্রেপ্তার করে হাটে উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে তাঁরা ছাড়া পান।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখড়া পশুহাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সবার মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। এ অবস্থায় শুক্রবার হঠাৎ করে হাটে হাজির হন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। অভিযোগের সত্যতাও পান হাতেনাতে।

পুলিশ জানায়, সরকারি নিয়মে গরুর ক্রেতার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার ৫০ থেকে ১০০ টাকা হাসিল দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আদায়ের প্রমাণ পান পুলিশ সুপার। তিনি তাৎক্ষণিক হাট ইজারাদারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাট ইজারাদারেরা সটকে পড়লেও পুলিশ হাট ইজারাদারের দুই প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন ও আশিক আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের হাটে উপস্থিত বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজের ভ্রাম্যমাণ আদলতে হাজির করা হয়। অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় তাঁদের ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। তাৎক্ষণিক অর্থ পরিশোধ করে তাঁরা ছাড়া পান। পরে পুলিশ সুপার হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পশুহাটে ইজারাদারেরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে ফেলেছিল। তাই তিনি নিজে হাটে গিয়েছিলেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে হাসিল আদায়কারী দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত পশু বেচাকেনা চলবে, পুলিশ ততক্ষণ পর্যন্ত হাটে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।