সেই 'বাংলার বস' এখন সখীপুরে

‘বাংলার বস’ নামের গরু। ছবি: সংগৃহীত
‘বাংলার বস’ নামের গরু। ছবি: সংগৃহীত

ওজন ১ হাজার ২৯৫ কেজি। দাম হাঁকা হয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। নামটাও চোখে লাগার মতো, ‘বাংলার বস’। দুয়ে মিলে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে এসে আলোচনার জন্ম দেয় যশোরের গরুটি। সেটি এখন আছে টাঙ্গাইলের সখীপুরে।

শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর কোরবানি দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুটি কিনেছেন। তিনি সখীপুরের বেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা। গরুর মালিক ৫০ লাখ টাকা হাঁকলেও শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। শুক্রবার বিকেলে সালাউদ্দিন আলমগীরের খালাতো ভাই আবদুল ওয়াদুদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবদুল ওয়াদুদ বলেন, গরুটি বেতুয়া গ্রামে নিয়ে রাখা হয়েছিল। এ খবর পেয়ে সেখানে উৎসুক লোকজন ভিড় জমাতে শুরু করেন। তাই জনসমাগম এড়াতে গরুটি এখন সখীপুর শহরের একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। ঈদের পরদিন আবার বেতুয়া গ্রামে নিয়ে গরুটি কোরবানি করা হবে।

‘বাংলার বস’কে পুষেছিলেন খামারি আসমত আলী গাইন। তাঁর বাড়ি যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার হুরগতি গ্রামে। গরুটি তিনি এক সপ্তাহ আগে গাবতলীর হাটে তোলেন। সেখানে গরুটির ওজন মাপা হয় ১ হাজার ২৯৫ কেজি। এটি দেশের সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেছিলেন আসমত গাইন।

আসমত আলী গাইন সাংবাদিকদের কাছে আরও দাবি করেন, গত বছর কোরবানির ঈদের কয়েক দিন আগে তিনি গরুটি কেনেন ১৭ লাখ টাকায়। এক বছর লালন পালন করলেও শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। খাবার খরচ মিলিয়ে তাঁর মোট লোকসান হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।