চট্টগ্রামে পশুর বর্জ্য অপসারণে ৪০০০ কর্মী, ৩৫০ গাড়ি

চট্টগ্রামে আজ শনিবার করোনার মধ্যে উদ্‌যাপিত হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। সকাল থেকে নগরের মসজিদে নামাজ আদয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর পাড়া-মহল্লায় পশু কোরবানি শুরু হয়।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নগরে সিটি করপোরেশনের প্রায় চার হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৩৫০টি গাড়ি নিয়োজিত রয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, কোরবানির ঈদে এবার পাঁচ টন থেকে আট টন বর্জ্য অপসারণ করা লাগতে পারে।

সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, এবার কোরবানি কম হয়েছে মনে হচ্ছে না। পাঁচ টনের বেশি বর্জ্য হবে। এ ছাড়া নিয়মিত বর্জ্য রয়েছে আরও আড়াই টন। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে কর্মীরা কাজে নেমে পড়েছেন। আশা করি, বিকেল চারটার মধ্যে নগর পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে।

দুপুর থেকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ শুরু হয়। মৌসুমি ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা এসব চামড়া সংগ্রহ করে নিয়ে নগরের হামজারবাগের চামড়ার আড়তে বিক্রি করবেন।

ঈদের নামাজ
চট্টগ্রাম নগরে এবার সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১৬৮টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে নগরের ৯৩টি স্থানে ঈদের জামাত হয়েছে। জামাতে প্রবেশের সময় হাত ধোয়াসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মুসল্লিদের মুখে মাস্ক ছিল।

আজ শনিবার সকাল পৌনে আটটায় নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই স্থানে সকাল পৌনে নয়টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় জামাত। করোনার কারণে এবার মসজিদে ভিড় কম ছিল।