চট্টগ্রামে সন্ধ্যার মধ্যে পশুর বর্জ্য পরিষ্কার

চট্টগ্রাম নগরে কোরবানির পশুর বর্জ্য গতকাল শনিবার ঈদের দিন সন্ধ্যার মধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মী এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন। ব্যবহার করা হয় সাড়ে তিন শ গাড়ি।

গতকাল সন্ধ্যার মধ্যে নগরের মূল সড়ক ও রাতের মধ্যে অলিগলি থেকে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নিজেই এই কার্যক্রমের সরাসরি তদারক করেন। সকাল নয়টা থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়। সন্ধ্যার মধ্যে পুরো নগরের পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। অলিগলিতে থাকা অল্প কিছু বর্জ্য রাতেই সরিয়ে নেওয়া হয়।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, এবার পাঁচ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কোরবানি ‘কিছু কম’ হওয়ায় বর্জ্যের পরিমাণও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমেছে। গতবার নগরে প্রায় দুই লাখ গরু-ছাগর কোরবানি দেওয়া হয়েছিল। করোনার কারণে এবার ২০ হাজার কম পশু কোরবানি হয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার আমরা বর্জ্য অপসারণে বাড়তি সতর্ক ছিলাম। সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আমরা চট্টগ্রাম নগরের মূল যে সড়ক আছে, সেখানে জমে থাকা সব বর্জ্য নিয়ে গেছি। এর মধ্যে অলিগলিতেও কাজ শুরু হয়। বিকেলে কিছু গরু কোরবানি হয়েছে। এসব বর্জ্য আমরা সর্বোচ্চ রাত আটটার মধ্যে অপসারণ করেছি।’

কোরবানির দিন শনিবার বিকেলে নগরের টাইগারপাস, কদমতলী, আমবাগান, চৌমুহনী, বায়েজিদ বোস্তামি, অক্সিজেন এলাকার মূল সড়কগুলো ঘুরে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। সড়কগুলো অনেকটাই পরিচ্ছন্ন দেখা গেছে।

সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গতকাল বিকেলে নগরের আলমাস সিনেমার সামনে, আগ্রাবাদ, পোর্ট মার্কেট, নিমতলা বিশ্বরোড, হালিশহর ও পতেঙ্গা এলাকায় গিয়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, এবার যেহেতু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, সে জন্য বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আলাদা সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। কোথাও যাতে বর্জ্য বা পানি জমে না থাকে, এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।