ঈদে ঢাকায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঈদের দিন ঢাকা মহানগরীতে জমা ১৩ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত দুই সিটি করপোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, কোরবানির ঈদে বর্জ্য জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. বদরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানি ঈদের দিন ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে জমা প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জানিয়েছে, ৫৪টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫ হাজার টন বর্জ্য জমেছিল, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৫৬টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়। তবে নির্ধারিত স্থানে গত বছরের তুলনায় পশু জবাইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুবিধাদি বিশেষ করে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর গাবতলীতে একটি আধুনিক ‘স্লটার হাউস’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোরবানি ঈদে দুই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ছুটি নেননি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব ২ হাজার ৬৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরলসভাবে কাজ করে ঢাকা শহরকে বর্জ্যমুক্ত করেছেন। আর কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির সাড়ে ৬ হাজার কর্মী কাজ করেছেন।