ঢাবি প্রক্টরিয়াল টিমের ওপর হামলায় ৬ সন্দেহভাজন থানায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের চার সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৬ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় 'ডেকে নিয়েছে' শাহবাগ থানা-পুলিশ৷ এদের মধ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের (ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২১ নম্বর ওয়ার্ড) অনুসারীরাও রয়েছেন।

গত শনিবার ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে টিএসসির সড়কদ্বীপে ওই হামলার ঘটনা ঘটে৷ হামলায় আহত চারজনই এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন৷ এই ঘটনায় গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷

শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে ৬ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ সোমবার থানায় ডেকে নেওয়া হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তাঁরা এখন থানাতেই রয়েছেন৷

এদিকে শনিবারের ঘটনাটিকে 'হাতাহাতি' বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ৷ নিজের নেতা-কর্মীদের 'গ্রেপ্তারের' (পুলিশ বলছে 'ডেকে নেওয়া') ঘটনায় দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অজ্ঞাতসারে প্রক্টরিয়াল টিমের পক্ষ থেকে তাঁকে ২৫ জনের একটি তালিকা দিয়ে ঈদের বকশিশ চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি তা দিতে পারেননি৷ আর সেই কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম তাঁর লোকজনের সঙ্গে 'বিরূপ আচরণ' করে থাকতে পারে৷

তবে কাউন্সিলরের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী৷ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে কখনো আসেনি৷ যদি কারও অভিযোগ থাকে, তা আইনগতভাবে প্রমাণ করতে হবে৷ আর একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও অপ্রত্যাশিত৷ কাউন্সিলরের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তা গ্রহণ করা হবে৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদকাসক্ত ও অপরাধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্যাং তৈরি করা কারও কাছ থেকে কখনোই কাম্য নয়৷'