ফুলছড়ি ফুড ব্যাংকের উদ্যোগে এবার মাংস পেল ৩০০ পরিবার

৩০০ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে মাংস ও মসলা বিতরণ করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। কাবিলপুর চর, ফুলছড়ি ০২ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো
৩০০ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে মাংস ও মসলা বিতরণ করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। কাবিলপুর চর, ফুলছড়ি ০২ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো

কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। নেই মাংস কেনার সামর্থ্যও। অভাবী ও দুর্দশাগ্রস্ত এমন ৩০০ দরিদ্র পরিবার খুঁজে বের করে তাদের এক কেজি করে মাংস ও মসলা দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উদ্যোগে করোনা ও বন্যার্তদের জন্য গঠিত স্থানীয় তহবিল ‘ফুলছড়ি ফুড ব্যাংকের’ অর্থে এই মাংস বিতরণ করা হয়। রোববার দুপুরে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন ফুলছড়ি উপজেলার কাবিলপুর চরে এসব মাংস বিতরণ করেন।

সামাজিক দূরত্ব মেনে মাংসের সঙ্গে মাস্কও বিতরণ করা হয়। মাংস বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ির ইউএনও আবু রায়হান, ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী, চিকিৎসক ইলতুতমিশ, কলেজশিক্ষক গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক খান, ফুলছড়ি ভলান্টিয়ার্স গ্রুপের আহ্বায়ক আশিকুর রহমান প্রমুখ।

মাংস ও মসলার প্যাকেট পেয়ে জরিনা বেগম বললেন, তাঁর স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন, লকডাউনের পর বন্যায় কাজকর্ম না থাকায় স্বামী সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন। শনিবার ঈদের দিনও ডাল, আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছেন। আবেগাপ্লুত জরিনা বলেন, ‘এই মাংস রান্না করে আত্মা ভরে ছোলপোল নিয়্যা খামো বাবা।’

ফুলছড়ি ভলান্টিয়ার্স গ্রুপের সদস্যরা মাংস বিতরণ করছেন। কাবিলপুর চর, ফুলছড়ি ০২ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত
ফুলছড়ি ভলান্টিয়ার্স গ্রুপের সদস্যরা মাংস বিতরণ করছেন। কাবিলপুর চর, ফুলছড়ি ০২ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত

ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রায়হান বলেন, তিন দফা বন্যায় কাবিলপুর চর গ্রামের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ হয়েছেন কর্মহীন। প্রান্তিক চাষিদের নেই আয়-রোজগার। নানা সমস্যা ও দুর্দশার শিকার কাবিলপুর চরের সাড়ে ৩০০ পরিবার। তাই ঈদের আনন্দ তাদের জন্য সব সময়ই স্বপ্নের মতো। কোরবানির ঈদ হলেও তারা মাংস পায়নি। তাই বিত্তবানদের সহায়তায় গঠিত ফুড ব্যাংক থেকে ওই চরের অতিদরিদ্র ৩০০ পরিবারকে বাছাই করে তাদের এক কেজি করে মাংস বিতরণ করা হয়।

এর আগে ঈদুল ফিতরের সময় এই ফুড ব্যাংক থেকে ১৮০০ পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী (সেমাই, চিনি, মুড়ি, গুঁড়া দুধ) বিতরণ করা হয়। করোনার সংক্রমণের পর পর গঠিত এই ফুড ব্যাংক থেকে শুরুতে প্রায় দুই মাস ধরে দুই হাজারেরও বেশি কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: