বাঁশখালীতে হামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ আহত ২

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনের সময় গার্ড অব অনার না দেওয়ার প্রতিবাদে আজ সোমবার মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ছাত্রলীগের এক নেতাসহ দুজন আহত হন। আজ বিকেলে উপজেলার প্রেমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই ব্যক্তি হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হক চৌধুরী (২৮) ও ছাত্রলীগের কর্মী মুক্তার হোসেন (২৮)। এঁদের মধ্যে ইমরুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বাঁশখালী থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফকে দাফন করার সময় গার্ড অব অনার না দেওয়ায় সোমবার বিকেলে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের প্রেমবাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করে একটি পক্ষ। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লোকজন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিপক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এতে সাংসদের সমর্থক ও মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা সদর থেকে ওই মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন ছাত্রলীগের নেতা ইমরুল হক চৌধুরীসহ দুজন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, প্রেমবাজারে মানববন্ধনে আসা লোকজনের সঙ্গে সাংসদপক্ষের লোকজন বিবাদে জড়ান। পুলিশ মাঝখানে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছাত্রলীগ নেতার শত্রুপক্ষ তাঁর ওপর হামলা করেছে।

পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ, আহত ৫
বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদের সিন্ধিপাড়ায় গতকাল দুপুরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন সিন্ধিপাড়ার নাসরিন আক্তার (২৬), তসলিমা বেগম (৩০), শাহিনুর বেগম (২৮), ইয়াসমিন (২৪) ও জোবেদা নাহার (৪০)। এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিন্ধিপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ কাওসার বলেন, ‘আমার দুই ভাই আজিম উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান কুয়েতে থাকেন। তাঁরা দুজনে মিলে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করেন। এক বছর ধরে আজিম উদ্দিনের স্ত্রী রুকসানা আক্তার জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে দিচ্ছিলেন না। গত রোববার ইয়াসমিন স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। গতকাল দুপুরে রুকসানা আবার ইয়াসমিনকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে গেলে পরিবারের অন্য সদস্যরা বাধা দেন। একপর্যায়ে রুকসানা তাঁর এক ভাইয়ের সহায়তায় বাড়িতে পুলিশ ডেকে আনে। পুলিশ ইয়াসমিনপক্ষের সবাইকে মারধর শুরু করে। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ করা শুরু করে। পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, খানখানাবাদ এলাকার লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। সেখানে কারও কথায় পুলিশ কাউকে মারধর করেনি।