টাকা না দেওয়ায় গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

রাজধানীর কাফরুল এলাকায় ফারজানা (১৯) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী। শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামির নাম মো. সুজন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার রামভদ্রপুর গ্রামে।

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গত ৩০ জুলাই বিকেলে আসামি সুজন তাঁর স্ত্রী ফারজানাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই দিন রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারজানার মৃত্যু হয়। টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করে আসামি সুজন।

ফারজানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর মা বাদী হয়ে সুজনের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঢাকার আদালতকে কাফরুল থানা-পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, গত ৩০ জুলাই বিকেলে ৩ হাজার টাকাকে কেন্দ্র করে ফারজানার সঙ্গে সুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। ফারজানাকে কিল-ঘুষি মারে সুজন। এর একপর্যায়ে ফারজানার চুল ধরে সজোরে দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। তাঁর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সুজন পালিয়ে যায়।

নিহত ফারজানার মামা জিন্নাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, বছর দেড়েক আগে সুজনের সঙ্গে ফারজানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ঝগড়া-ঝাঁটি লেগেই থাকত। ফারজানা গার্মেন্টসে চাকরি করত। টাকা না দেওয়ায় ফারজানাকে হত্যা করেছে সুজন। সুজনের ফাঁসি চান তিনি।