বিদ্যুৎহীন ৫ ঘণ্টায় ঘেমে-নেয়ে একাকার

সোমবার রাত তখন প্রায় সাড়ে ১১টা। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার মানুষজন ঘুমের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে ঘুমিয়েও পড়েছেন। প্রচণ্ড গরমে ঘুমাতে চাইলেও ঘুমানো যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসে শরীর ঠান্ডা হচ্ছে না। ঝড় নেই, বৃষ্টি নেই; হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো অল্পক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসবে। কিন্তু ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, বিদ্যুৎ আসার খবর নেই। ৫ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসে।

অনেকেই স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে খবর নিয়ে জানতে পারেন, ৩৩ কেভি লাইনের শিয়ালকোল এলাকায় তার ছিঁড়ে গেছে। তাই এ ভোগান্তি। এরপর শুধুই অপেক্ষা। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় এ সময় অনেকেই ঘর ছেড়ে বাইরে বের হন। বিদ্যুৎ না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন শিশু ও বৃদ্ধরা।

উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বেড়াবাজুয়া গ্রামের আল মাসুদ সরকার বলেন, ‘এমনিতেই প্রচণ্ড গরম, তার ওপর বিদ্যুৎ নেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাই না ঘুমিয়ে বাড়ির সামনে গাছতলায় বসে আছি।’ ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া পারভিন বলেন, এই গরমের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয়েছে। ঘেমে-নেয়ে একাকার অবস্থা। এমন ভোগান্তির শিকার খুব কমই হয়েছেন বলে জানান তিনি।

রায়গঞ্জ পৌরসভার রনতিথা এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম রেজা খন্দকার বলেন, প্রচণ্ড গরম আর বিদ্যুৎ না থাকায় গত রাত প্রায় না ঘুমিয়ে কাটাতে হয়েছে। ধানগড়া এলাকার গৃহবধূ শিউলি ইসলাম বলেন, ‘গরমের এ সময়ে বিদ্যুতের বেহাল দশায় আমাদের ভোগান্তি চরমে।’

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ভূঞাগাঁতী আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৩৩ কেভি লাইনের তার ছিঁড়ে গেলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যুৎকর্মীরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারেন।