ঢাকায় হোটেলকক্ষে নারীকে হত্যার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে এক নারীকে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় ডিবি।

ডিবি বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম ইয়াসিন মোল্লা (২৫)। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জে।

ডিবির ভাষ্য, সায়েদাবাদের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে হাবীবা ইয়াসমিন ওরফে লাবনী (৩৫) নামের নারীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ইয়াসিন মোল্লা। হাবীবা ঢাকায় বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলায়।

ডিবি জানায়, হাবীবাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গত ৩০ জুলাই দুপুরে সায়েদাবাদের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন ইয়াসিন। এদিন বিকেলে ইয়াসিন কক্ষের বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে চলে যান। রাতে হোটেলবয়রা এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওই নারীকে খাটের ওপর নিথর অবস্থায় পান। যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ এসে নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

নারীর লাশ উদ্ধারের এই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ।

ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার পর টানা চার দিন ধরে অভিযান চালিয়ে ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে হাবীবার ব্যবহৃত মুঠোফোনের একটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াসিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

মামলার তদন্ত-সম্পৃক্ত ডিবির একাধিক কর্মকর্তার ভাষ্য, গ্রেপ্তারের পর ইয়াসিনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি ডিবিকে বলেছেন, দেড় বছর আগে সিলেটের জাফলংয়ে হাবীবার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। এরপর সম্পর্ক। ঘটনার দিন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই হোটেল ওঠেন। একপর্যায়ে একটি মোবাইল ফোনের কলকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে তিনি (ইয়াসিন) ক্ষিপ্ত হয়ে হাবীবার গলা টিপে ধরেন। পরে নাক-মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হাবীবাকে হত্যা করে পালিয়ে যান।