সখীপুরে আ.লীগ নেতার চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

সখীপুরে বহেড়াতৈল নৌকাঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধে আজ মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। ছবি: প্রথম আলো
সখীপুরে বহেড়াতৈল নৌকাঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধে আজ মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল নৌকাঘাটে আওয়ামী লীগের নেতার চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বহেড়াতৈল এলাকাবাসীর ব্যানারে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই সরকার, চান মামুদ আলী, সবুজ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক নজরুল নবুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল নবু বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে তাঁকে হেয় করার জন্য একটি মহল এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।

বক্তারা বলেন, বহেড়াতৈল ঘাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। তাঁরা ওই ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে পরিবার–পরিজন নিয়ে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটাচ্ছেন। বহেড়াতৈল নৌকাঘাটে ৫০ থেকে ৬০টি ছোট-বড় নৌকা রয়েছে। প্রতিটি নৌকা থেকে কোনো ধরনের রসিদ ছাড়াই নৌকাভর্তি বাবদ এক হাজার টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি নৌকা থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবুর নেতৃত্বে এ চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

নজরুল নবু স্থানীয় সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
ওই ঘাটের একজন নৌকাচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ঘাটে সিরিয়াল পেতে হলে আওয়ামী লীগের নেতা নবুর লোকজনকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার টাকা না দিলে নৌকা চালাতে দেওয়া হয় না।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক নজরুল নবু বলেন, ‘বহেড়াতৈল বাজার ও নৌকাঘাটের ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। যাঁরা মানববন্ধন করেছেন, তাঁরা একই পরিবারের লোক। উপজেলা ও থানা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওই ঘাটে একটি কমিটির মাধ্যমে নৌকাপ্রতি ৫০ টাকা আদায় করা হয়। ওই টাকা দিয়ে ঘাটের খরচ মিটিয়ে বাকি টাকা স্থানীয় মসজিদে দেওয়া হচ্ছে। এখানে আমি ও আমার লোকজন কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন আজ বেলা সাড়ে তিনটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহেড়াতৈলের ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধে মানববন্ধন হয়েছে কি না, সেটা আমার জানা নেই। ওই নৌকাঘাটে চাঁদাবাজি বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। ওই ঘাটে চাঁদাবাজি হয়ে থাকলে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’