পরিবর্তন আসবেই: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে পরিবর্তন আসেবেই এবং সে পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার সদ্য প্রয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়ালের স্মরণে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে এখানে বলেছেন যে হতাশার কোনো জায়গা নেই। পরিবর্তন তো হবেই, পরিবর্তন আসতে হবে। সেই পরিবর্তনের জন্যই কাজ করতে হবে। জনগনকে সামনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, সকলের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে আমাদেরই পরিবর্তন আনতে হবে, দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। শফিউল বারী বাবু ও আবদুল আউয়াল খানের যে ত্যাগ সেই ত্যাগের মূল্যায়ন তখনই আমরা করতে পারি যদি সেই সংগ্রামে, সেই লড়াইয়ে আমরা সবাই সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে এই ভয়ংকর ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে পারি।’

গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘এদেশের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই, এদেশের মানুষের যে মালিকানা, তার রাষ্ট্রের মালিকানা তা ফেরত পাওয়ার লড়াই। এই লড়াইয়ে প্রায় বেশির ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে। গণতান্ত্রিক অবস্থা তারা ফিরে পেতে চায়, তারা গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে চায়, তারা অধিকার ফিরে পেতে চায়, তারা ভোট দিতে চায়। কিন্তু হচ্ছে না, পারা যাচ্ছে না। কেন যে এখানে এমন একটা শক্তি, যে শক্তি পুরোপুরিভাবে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়ে, ক্ষমতা দখল করে বসে সেই স্বপ্নগুলোকে খান খান করে দিচ্ছে। এ জন্য এখন আমাদের ভাবতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কিন্তু গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি ইতিমধ্যেই আমরা প্রচুর দান দিয়েছি, দিচ্ছি, দিয়ে চলেছি। প্রায় ২০ লাখ আসামি মিথ্যা মামলায়, এক লক্ষ্যের ওপরে মামলা, আমাদের প্রায় হাজারের ওপর মানুষ গুম হয়ে গেছে, হাজারের ওপরে মানুষ খুন হয়ে গেছে এবং কথা বলার কোনো স্বাধীনতা নেই, বিচার পাওয়া যাচ্ছে না এবং অর্থনৈতিক ন্যূনতম যেটুকু স্বাধীনতা ছিল সেটাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ এ জন্য তিনি জনগণকে সংগঠিত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জনগণকে সংগঠিত করার মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা আমাদের জনগণের অধিকারটাকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হব, এ ছাড়া হবে না।’

শফিউল বারীর বাবুর কথা স্মরণ করে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেতাদের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপির প্রয়াত নেতা শফিউল বারী বাবু ও আউয়াল খানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘নেতা একদিনে তৈরি হয় না। তাদের জীবনটা যদি আলোচনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে নেতা হতে হলে কত পরীক্ষা, কত ত্যাগ, কত জেল, কত জুলুম, কত মামলা খেয়ে একজন নেতা হতে পারে। এই দুই উদীয়মান নেতা আমাদের থেকে চলে গিয়ে বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে সেটা আমরা এখনো বলতে পারি নাই।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খান খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।